র্যাবের পর এবার একসঙ্গে চার ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। ক্লাবগুলো হলো- মোহামেডান, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, দিলকুশা স্পোর্টিং ও ভিক্টোরিয়া। রবিবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে এ অভিযান হয়।
এসব ক্লাব থেকে বিপুল পরিমাণ জুয়া খেলার সরঞ্জাম, তাস, কার্ড উদ্ধার করা হয়। এছাড়া টাকা, মদ ও সিসা জব্দ করা হয়। তবে কাউকে আটক করা যায়নি।
এর মধ্যে ভিক্টোরিয়া ক্লাব থেকে বিভিন্ন ধরনের জুয়া খেলার সরঞ্জাম, এক লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ তাস, জুয়ায় ব্যবহৃত চিপস ও মদ পাওয়া গেছে।
মোহামেডানে পাওয়া গেছে দুটো রুলেট টেবিল, নয়টি বোর্ড, বিপুল পরিমাণ কার্ড, ১১টি ওয়্যারলেস সেট ও বিভিন্ন ধরনের ছোড়া। আর আরামবাগ ও দিলকুশা ক্লাবেও বাকারা ও রুলেট টেবিলসহ বিভিন্ন জুয়ার সরঞ্জাম পেয়েছে পুলিশ।
চাকু, ওয়্যারলেস সেট ও মাদক জব্দ করা হয়। ছবি: ফোকাস বাংলা
পুলিশ বলছে ক্যাসিনোগুলো পরিচালনার জন্য নেপাল থেকে অভিজ্ঞ কর্মী আনা হয়েছিল।
মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন জানান, সবগুলো ক্লাব থেকে ব্যাপক পরিমাণ জুয়া খেলার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। একটি ক্লাবে মদ পাওয়া গেছে। আরকটি ক্লাবে এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের নাকের ডগায় এসব ক্যাসিনো এতদিন কীভাবে চলে আসছিল এমন প্রশ্নে পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, যখনই আমাদের কাছে তথ্য এসেছে, তখনই আমরা অভিযান চালিয়েছি।
জুয়া খেলার সরঞ্জাম জব্দ করেছে পুলিশ। ছবি: ফোকাস বাংলা
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। তবে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্প্রতি সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অবৈধ ক্যাসিনোর সন্ধানে প্রথমে অভিযান চালায় র্যাব। এর মধ্যে ঢাকার ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাব ও ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ক্যাসিনো পাওয়া যায়।
সিসা, তাস, চিপস উদ্ধার করা হয়। ছবি: ফোকাস বাংলা
ইয়ংমেনস ক্লাবের ক্যাসিনোর ভেতর থেকে তরুণীসহ ১৪২ জনকে আটক করা হয়। নগদ ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, মদ, বিয়ার জব্দ করা হয়। গ্রেফতার করা হয় ক্যাসিনোর সভাপতি যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে।
ছবি: ফোকাস বাংলা
অপরদিকে যুবলীগের আরেক নেতা নেতা জি কে শামীমের অফিসে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে র্যাব। এছাড়া নগদ এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর (স্থায়ী আমানত) চেক ও ১শ কোটি টাকার চেক উদ্ধার করা হয়। আর শামীমকে তার সাত দেহরক্ষীসহ আটক করা হয়।
ছবি: ফোকাস বাংলা
এরপর ধানমণ্ডির কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে অভিযান চালায় র্যাব। এখান থেকে জুয়া খেলার কয়েন, ভিন্ন ধরনের ইয়াবা, বিদেশি পিস্তল, গুলি, ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি ও কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শফিকুল আলম ফিরোজসহ ৫ জনকে।