মোবাইলের ইন্টারনেট সেবা চালু করেছে সরকার। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশনার পরই চালু হয় মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা। বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, সরকারের নির্দেশনায় রোববার সন্ধ্যায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নির্দিষ্ট সময়ের ৬ ঘন্টা আগে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী আজ রোববার রাত ১২টার পর মোবাইল ইন্টারনেট চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার ২ ঘণ্টা পরে (সন্ধ্যা ৬টার দিকে) টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট উন্মুক্ত করে দিয়েছে অপারেটররা।
ভোটের আগের দিন শনিবার রাত ১১টার দিকে মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে নির্দেশনা পাঠিয়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করেছিল বিটিআরসি। শনিবার দুপুর থেকে ফোর-জি ও থ্রি-জি সেবা বন্ধ করে টু-জি সেবা চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছিল বিটিআরসি। কিন্তু শনিবার রাত ১১ টার পর থেকে ভোটের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত টু-জি সেবাও বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া বিটিআরসির পক্ষ থেকে। ফলে ভোটের আগের দিন মধ্যরাত থেকে ভোটের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা পায়নি গ্রাহকেরা। এরপর আজ সন্ধ্যা ৬টায় আবার ইন্টারনেট সেবা চালু হলো।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রায় ১০ ঘণ্টা মোবাইলে ফোর-জি ও থ্রি-জি সেবা বন্ধ রেখেছিল বিটিআরসি। শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত কিছু সময় ফোর-জি ও থ্রি-জি সেবা পেয়েছিলেন গ্রাহকেরা।
প্রসঙ্গত, মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকলেও ব্রডব্যান্ডে ইন্টারনেটে স্বাভাবিক সেবা পেয়েছেন গ্রাহকেরা।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনের ভোটের আগে ‘অপপ্রচার’ ঠেকাতে ১৩ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ইন্টারনেটের গতি কমানোর প্রস্তাব দেয় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ওই বৈঠকে সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক সমন্বয়সভায় এই পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকে সব বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, সব রিটার্নিং অফিসার, জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।