মোটরসাইকেলের অবৈধ আমদানির বিরুদ্ধে অভিযানে পুলিশ

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

অধিক মুনাফার লোভে অবৈধপথে ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল আমদানি ও বাজারজাত করছে একটি চক্র। অবৈধভাবে দেশে আসা মোটরসাইকেল কিনে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন। সেই সঙ্গে সরকারও হারাচ্ছে রাজস্ব। এ ছাড়াও অবৈধভাবে আমদানি করা এসব মোটরসাইকেল ছিনতাই, চুরিসহ নানা সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই অবৈধভাবে আমদানি করা মোটরসাইকেল জব্দে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।

এক সপ্তাহে চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৩টি মোটরসাইকেল আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনা থানা এলাকায় শোরুমগুলোতে ওসির নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১২টি শোরুমের তিনটিতে অবৈধ মোটরসাইকেলের সন্ধান পায় পুলিশ।

এ বিষয়ে রমনা থানার দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, অবৈধভাবে আমদানি করা মোটরসাইকেল অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়। এসব মোটরসাইকেল নিরাপত্তার জন্য হুমকি, তাই পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

তিনি আরও জানান, বৈধ আমদানিকারকরা সঠিক মূল্য দেখিয়ে দেড়শ’ শতাংশের বেশি শুল্ক্ক দেয়। কিন্তু অবৈধ আমদানিকারকরা কম মূল্য দেখিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ক্রেতাদের প্রতারিত করে। এসব বিবেচনায় নিয়েই আদালতের নির্দেশনা মেনে অভিযান চালানো হচ্ছে।

সংশ্নিষ্টরা জানিয়েছেন, এসব ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল কেনার পর ক্রেতারা সঠিক সময়ে সঠিক সার্ভিস পান না। এমনকি প্রচলিত মডেল না হওয়ায় সঠিক যন্ত্রাংশও পাওয়া যায় না। আবার অবৈধ আমদানিকারকরা স্থানীয় স্পেয়ার পার্টস ও যন্ত্রাংশ সংযোজনের মাধ্যমে ক্রেতাদের প্রতারিত করে। এ ছাড়া বিআরটিএ থেকে নিবন্ধন করতে গেলে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বৈধ মালিকানাপত্রের দরকার হয়। কিন্তু অবৈধ আমদানিকারকরা নকল কাগজপত্র দেখিয়ে বিআরটিএ’তে নিবন্ধন করে থাকে।

ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল আমদানি ও বাজারজাতকরণের জন্য এসিআই লিমিটেডকে বৈধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করেন আদালত। পুশ ইন্টারন্যাশনাল, নিউ সোনারগাঁ মোটরস, আরএন এন্টারপ্রাইজ, পোলারিস টেক লিমিটেড, পাওয়ারপ্যাক ইন্টারন্যাশনালসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে ইয়ামাহা মোটরসাইকেল আমদানি ও বিপণনের ক্ষেত্রে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন আদালত। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কয়েকটি কোম্পানি অবৈধপথে মোটরসাইকেল আমদানি করছে।