মে দিবসে পুলিশের এএসপি মনিরুজ্জামানের তিন গল্প

:
: ৬ years ago

এএসপি মনিরুজ্জামান ফকির, একজন পুলিশ অফিসার। বর্তমান কর্মস্থল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল সার্কেলে নিয়োজিত। মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে আজ সকালে একগুচ্ছ গোলাপ হাতে সহকর্মীদের নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে পরে। ভর-দুপুরে রিক্সায় ঘাম ঝরানো রিক্সাওয়ালাদের হাতে এক-একটি করে লাল গোলাপ তুলে দেন।

তার পাশাপাশি অন্যান্য পুলিশরাও বিভিন্ন রিক্সাওয়ালা, সিএনজি চালক, বাস চালক, ট্রাক চালক, মুদি দোকানদার, ঝাড়–দার সহ বিভিন্ন পেশাজীবির শ্রমিকদের হাতে গোলাপ তুলে দেন। এই অপরূপ দৃশ্যটি আজ দেখা মেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার বিশ্বরোড মোড়ে। যেন শ্রমিক-পুলিশের বন্ধুত্ব। প্রথম গল্পটির পর দ্বিতীয় গল্পটি যেন এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। ফুল নিয়ে চলে যান এক পাতিল তৈরির কারখানার ভিতর। ভিতরে গিয়ে দেখা যায় যে, গুনে গুনে ১৪ জন শিশুকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে।

যাদের বয়স ১০-১১ বছরের ভিতর। সকাল ৮টায় আসে ঐ কারখানায়, আবার যেতে হয় রাত্রে। খাবার-থাকা সব নিজের। বেতন মাত্র ৩,৫০০/- টাকা। যেন এক জিম্মিখানা। এই দৃশ্য দেখে খুব আবেগতারিত হয়ে পরেন এএসপি মনিরুজ্জামান ফকির। ফোন করেন সরাইল থানার এ্যাসিল্যান্ডকে। তারপর যদিও কোন জরিমানা ছাড়ায় ঐ কারখানার মালিককে শর্ত সাপেক্ষে ছেড়ে দেওয়া হয়। মুক্ত করা হয় শিশুশ্রম থেকে ঐ ১৪জন বালককে। তারপর তৃতীয় গল্পের শুরু হয় ৫০জন রিক্সা শ্রমিককে ৫০টি গামছা দিয়ে। স্থানীয় আলোর মিছিল নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে ৫০জন রিক্সা শ্রমিককে এএসপি মনিরুজ্জামান ফকির গামছা বিতরন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজ উদ্দিন ভূইয়া সহ আরও অনেকে।