#

করাচিতে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) একটি যাত্রীবাহী প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে এ পর্যন্ত অন্তত ৬৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) শেষ মুহূর্তের কথোপকথন থেকে ধারণা করা হচ্ছে, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই বিধ্বস্ত হয়েছে প্লেনটি। ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে তাদের সেই কথোপকথনের রেকর্ড।

জানা গেছে, অবতরণের সময় প্লেনটির দু’টি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। ফলে নির্দিষ্ট কিছু গিয়ার না খোলায় সেটি রানওয়েতে না নেমে বিমানবন্দরের নিকটবর্তী আবাসিক এলাকায় একটি মোবাইল টাওয়ারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বাড়ির ওপর ভেঙে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় প্লেনটিতে।

jagonews24

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শেষ মুহূর্তে এ৩২০ এয়ারবাসের পাইলটের কথার যে রেকর্ডিং পাওয়া গেছে, তাতে তাকে ‘মে ডে, মে ডে! দুটো ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেল!’ বলে চিৎকার করতে শোনা গেছে।

‘মে ডে’ হচ্ছে অ্যাভিয়েশনের একটি কোড। প্লেন চালানোর সময় বড় বিপদের মুখে এই কোড ব্যবহার করেন পাইলটরা। এদিনও প্লেন বিধ্বস্তের আগে তেমনই বার্তা গিয়েছিল এটিসি’তে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত পিআইএ’র পাইলট ও এটিসির শেষ মুহূর্তের কথোপকথন তুলে ধরা হলো-

পাইলট: পিকে ৮৩০৩ অ্যাপ্রোচ।
এটিসি: জি স্যার।
পাইলট: আমরা বাম দিকে যাব, তাই তো?
এটিসি: ঠিক তাই।
পাইলট: আমরা যাচ্ছি… দু’টো ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেল!
এটিসি: বেলি ল্যান্ডিং করা হচ্ছে তো?
পাইলট: (গলার স্বর অস্পষ্ট)
এটিসি: রানওয়ে ২ আর ৫ রেডি আছে!
পাইলট: রজার।
পাইলট: স্যার! মে ডে, মে ডে, মে ডে, পাকিস্তান ৮৩০৩!
এটিসি: পাকিস্তান ৮৩০৩, রজার স্যার। দুটো রানওয়েই রেডি আছে।

এরপরেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ভেঙে পড়ে প্লেনটি।

jagonews24

এদিন স্থানীয় সময় দুপুরে ১টায় ৯৮ জন আরোহী নিয়ে লাহোর থেকে রওয়ানা দিয়েছিল যাত্রীবাহী প্লেনটি। দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে করাচি পৌঁছনোর কথা ছিল তার। কিন্তু ২টা ৩৭ মিনিটে প্লেনটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কন্ট্রোল রুমের। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্ঘটনায় পড়ে সেটি।

সূত্র: ডন, দ্য ওয়াল

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন