মেয়েদের যে বিজয় স্পর্শ করেনি বাফুফে কর্মকর্তাদের

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

রোববার ১০ থেকে ১২ হাজার দর্শক কমলাপুর শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে উপভোগ করেছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। শুধু খেলাই দেখেনি তারা, জাতীয় পতাকা দুলিয়ে, বাংলাদেশ-বাংলাদেশ স্লোগান তুলে মারিয়া-মনিকাদের অনুপ্রাণিতও করেছে দর্শকরা; কিন্তু এমন একটি দিনে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে নির্বাহী কমিটির অনেককেই দেখা যায়নি স্টেডিয়ামে।

সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন সাফেরও সভাপতি। তিনি থাকবেন সেটাই স্বাভাবিক, ছিলেনও। সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীও ছিলেন। মঞ্চে উঠে পুরস্কারও দিয়েছেন। সহ-সভাপতি বাদল রায় অসুস্থ শরীর নিয়েও স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। সিঁড়ি ভেঙে ওপরে যেতে পারেননি, খেলা দেখেছেন নিচ তলায় বসেই।

বাফুফে সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ বাফুফের মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান। নারী ফুটবল এগিয়ে যাওয়ার কারিগর কিরণের উপস্থিতি ছিল প্রতিটি ম্যাচে। প্রতি ম্যাচে ছিলেন সদস্য আমিরুল ইসলাম বাবুও। তিনি যে দলেরই অংশ, হেড অফ ডেলিগেশন! এর বাইরে ফাইনালে দেখা গেছে সদস্য হারুনুর রশিদ, জাকির হোসেন হোসেন চৌধুরী, অমিত খান শুভ্র ও ইকবাল হোসেনকে।

মেয়েদের ফুটবল নিয়ে বাফুফের নির্বাহী কমিটির অনেককে ফোঁড়ন কাটতেও শোনা গিয়েছে। মেয়েদের বয়স নিয়ে প্রশ্ন আছে- এক সদস্য এ মন্তব্য করেছেন মিডিয়ায়। এমনকি বেতনভুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যেও কেউ কেউ রসিকতা করেন মেয়েদের ফুটবল নিয়ে। অথচ গ্রাম-গঞ্জ থেকে উঠে আসা এ মেয়েরাই বাংলাদেশকে উঠিয়েছেন দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ আসনে।

রোববার বাফুফে ভবনে পা রাখার জায়গা ছিল না। মেয়েদের ঘিরে তৈরি হয়েছিল উৎসবমুখর পরিবেশ; কিন্তু যারা ভোটের সময় চষে বেড়ান দেশ, নির্বাচিত সেই কর্মকর্তাদেন বেশির ভাগই ছিলেন অনুপস্থিত।