মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল মায়েরও

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা শাহানারা বেগম (৪০) ও মেয়ে শারমিন আক্তারের (১৩) প্রাণ গেছে। এ ঘটনায় শাহানারার ছোট বোন সাজেদা আক্তার (৩৮) এবং বাড়ির কেয়ারটেকার জোছনা আক্তার (৪০) গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার বিকেল ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানার শেখদি আবুল মোল্লা স্কুল রোডের একটি একতলা ভবনের ছাদে থাকা রডের সঙ্গে বৈদ্যুতিক তার জড়িয়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শাহানারা বেগমের স্বামী দেলোয়ার হোসেন রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। নিহত মেয়ে শারমিন আক্তার স্থানীয় আব্দুল মোল্লা স্কুল অ্যান্ড কলেজে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তো।

আহত সাজেদা বেগমের স্বামী ফিরোজ মৃধা বলেন, বিকেলেই তার স্ত্রী সাজেদা শারমিনদের বাসায় বেড়াতে যান। তারা সবাই নিজেদের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে ওঠে কাঁথা সেলাই করছিলেন। ছাদে থাকা একটি রডে হাত দেয় মেয়ে শারমিন। রডটি পাশে থাকা ৪৪০ ভোল্টের একটি বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লে সে শক খায়। এমতাবস্থায় মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে মা শাহানারা বেগমও বিুদ্যৎস্পৃষ্ট হন। এতে মা-মেয়ে দুজন বাসাতেই মারা যায়।

ঢামেক বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পালের বরাত দিয়ে হাসপাতাল ক্যাম্প পুলিশের উপ-পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, কেয়ারটেকার জোছনা বেগমের শরীরের প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার ডান হাতের কবজিও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। নিহত শাহানারার বোন সাজেদা বেগমের দুই হাত পুড়ে গেছে। তারা এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন।