মেয়র সাদিকের কারিশমায় নগর ছাড়া রাতের অপরাধীরা!

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

আসাদুজ্জামান :: বছর খানেক পূর্বেও রাতের বরিশালে অপরাধীদের স্বর্গ রাজ্য ছিলো। কেবল চুরি ডাকাতিই নয়, অহরহ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটতো। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকলেও সম্পূর্ন রূপে নিয়ন্ত্রন করা যায়নি রাতের অপরাধীদের। লঞ্চ ও বাস যাত্রীদের কে আগে ছিনতাইকারীদের কবলে পরে সর্বস্ব হারাতে হতো। শীত কেটে ও গ্রীল ভেঙ্গে চুরি এবং ডাকাতি হতো। এখন আর তা হচ্ছে না বললেই চলে।

নগরীর মধু মিয়ার পুল, সোবাহান মিয়ার পুল, হাসপাতাল রোড অমৃত লালদে কলেজের সামনে, বৈদ্যপাড়া সিএন্ডবি রোডের মুখে নতুন বাজার কলেজ রো সম্মুখে, আমতলার মোড়, কাউনিয়া বিসিক, রূপাতলী, পটুয়াখালী মহাসড়কে, দপদপিয়া ও কালিজিরা এলাকাসহ নগরীতে চিহিৃত ১৪ টি স্পটে প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটতো।

রাতের নগরীতে আইনশৃংখলা বাহিনীর চোখ ফাকি দিয়ে এসব অপরাধীরা প্রায়ই চুরি ডাকাতি ছিনতাই করতো। রাতের নগরী পাহারায় কেবল আইনশৃংখলা বাহিনী ছাড়া সাধারনের চলাচল না থাকায় সুযোগ সন্ধানিরা অপরাধ করে বেড়াতো। পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ীদের অভয়ারন্য ছিলো রাতের বরিশাল। তাও এখন বন্ধ হয়ে গেছে।

নগর বিশ্লেষকরা বলছেন, পৌরসভার আমল থেকে শুরু করে বর্তমান সিটি কর্পোরেশন পর্যন্ত নগর পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা রাতে নগর পরিচ্ছন্নতায় অংশ গ্রহন করেনি। সকাল ৫টার দিকে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা দায়সাড়া ভাবে কাজ শুরু করে দুপুর ২ টা পর্যন্ত কাজ করতো। এতে ময়লার ভাগার পরিস্কার না হয়ে উল্টো যানযটের সৃষ্টি হতো।

সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ নির্বাচিত হওয়ার পরে, তার নির্দেশনায় নগর পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কাজের সময়সীমা ও পরিচ্ছন্ন বিষয় শতভাগ সচেতন হয় বিসিসির পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। ব্যতিক্রমধর্মী এই নির্দেশনায় কেবল নগর পরিচ্ছন্নই নয়, নগর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে রাতের অপরাধীরা।

কারণ, নগরীতে রাত ১১ টা পর্যন্ত জনসাধারনের চলাচল স্বাভাবিক থাকে। রাত ১২ টার মধ্যে রাস্তায় জনচলাচল না থাকায় নিঝুম নগরীতে পরিনত হয়। রাত ১০টার পরে নগরীর সবকটি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নগর পরিস্কারের জন্য পোশাক পরে কাজে নেমে পরেন, কাজ শেষ হয় সকাল ৫ টার দিকে তখন জনচলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। শতশত পরিচ্ছন্নকর্মী রাতে নগর ঝাড়ু দেওয়া ও ময়লা আর্বজনা পরিস্কারের কাজে লিপ্ত থাকেন। তাদের কাজ ঠিকমত হয় কিনা, তা দেখার জন্য সিটি কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মোটরসাইকেল যোগে নগর দাবরিয়ে সবকটি ওয়ার্ডে মনিটরিং করে থাকেন।

পাশাপাশি সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহও কখনো মোটরসাইকেলে, কখনো রিক্সায়, আবার কখনো গাড়িতে চরে রাতের নগরী প্রদক্ষিন করে থাকেন। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর, বিসিসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রাতভর নগর পরিচ্ছন্নতার কাজ ও মনিটরিং করায় রাতের অপরাধীরা রাস্তায় নামতে সাহস পায়নি। প্রশাসনের পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনের বিশাল কর্মীবাহিনী রাতে কাজ করায় নগর ছেড়েছে অপরাধীরা। সুফল হিসেবে নগরবাসী স্বস্তিতে রয়েছে।

ছিনতাইকারীদের কবলে পরতে হচ্ছেনা লঞ্চ ও বাস যাত্রীদের। সিটি মেয়রের এমন পদক্ষেপ, দলমত নির্বিশেষে গোটা নগরবাসীর কাছে প্রশংসনীয় হয়েছে। এহেনো কাজের জন্য নগরবাসী সিটি মেয়রকে সাধুবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।