অবশেষে ফিরেছে ঘরোয়া ক্রিকেট। মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ স্পন্সর্ড বাই ওয়ালটন’ টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে ২৫১ দিন পর ফিরেছে ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রতিযোগিতা। পুরো টুর্নামেন্টটি দেখা যাবে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চালু হতে যাওয়া ক্রীড়া চ্যানেল টি-স্পোর্টসে।
মিনিস্টার রাজশাহী: ১৬৯/৯ (২০ ওভার শেষে) (শান্ত ১৭, ইমন ৩৫, রনি ৬, আশরাফুল ৫, ফজলে মাহমুদ ০, মেহেদি ৫০, সোহান ৩৯, ফরহাদ ১১*; মুক্তার ৩/২২, নাসুম ১/৪১, নাঈম ১/৩২, মেহেদী ১/৩১)
মেহেদি-সোহানে ঢাকাকে বড় লক্ষ্য দিলো রাজশাহী
প্রথম ১০ ওভার শেষে রাজশাহীর স্কোর ছিল ৬৭/৫। সেখান থেকে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৬৯/৯ স্কোর নিয়ে মাঠ ছাড়বে, এমনটা হয়ত ভাবেইনি মিনিস্টার রাজশাহী। তবে মেহেদি হাসান ও নুরুল হাসান সোহানের ৮৯ রানের অসাধারণ এক জুটিতে শেষ পর্যন্ত বেক্সিমকো ঢাকার সামনে ১৭০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে নাজমুল শান্তর রাজশাহী। মেহেদি ঝড়ো ফিফটি পূর্ণ করেই ফিরে যান। ৩২ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৫০ রান করে মেহেদী রানার বলে ফেরেন তিনি। এছাড়াও ২০ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩৯ রানের ক্যামিও খেলেন নুরুল হাসান সোহানও। তাকে ফেরান মুক্তার আলী। এছাড়াও শেষদিকে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ বলে অপরাজিত ১১ রান করেন ফরহাদ। এর আগে ওপেনিংয়ে নেমে আনিসুল ইমন করেছিলেন ৩৫ রান। ঢাকার পক্ষে সফল বোলার ছিলেন মুক্তার। ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন এই মিডিয়াম পেসার।
মেহেদি-সোহানে দারুণ লড়াই রাজশাহীর
সর্বশেষ ৫ ওভারে কোনো উইকেট হারায়নি রাজশাহী। কিন্তু রান তুলেছে ৫৬। আর তাতেই শুরুর বিপদ কাটিয়ে দারুণ জবাব দিচ্ছে রাজশাহী। মেহেদি হাসান ও নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে দারুণ লড়াই করছে শান্তর দল। এই দুই ব্যাটসম্যান ৫৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন। দুই ব্যাটসম্যানই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছেন। মেহেদি ২২ বলে ৩৪ ও সোহান ১২ বলে ২৪ রানে অপরাজিত আছেন।
আশরাফুলের বিদায়ে বিপদে রাজশাহী
সুযোগ ছিল নিজেকে প্রমাণ করার। তবে সে চেষ্টার প্রথম ধাপে ব্যর্থ জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল। ৯ বলে মাত্র ৫ রান করে বিদায় নিয়েছেন জাতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার। তার বিদায়ের পর বিপদে পড়েছে রাজশাহী। নবম ওভারে আশরাফুল ফেরার পরের ওভারে আরও দুই উইকেট হারিয়েছে রাজশাহী। ফলে ৬৫/২ স্কোর থেকে মুহূর্তের মধ্যে ৬৫/৫ স্কোর দাঁড়ায় রাজশাহীর। এখন পর্যন্ত রাজশাহীর পক্ষে সর্বোচ্চ ২৩ বলে ৩৫ রান করেছেন আনিসুল ইমন। তিনিও অবশ্য নাঈম হাসানের বলে স্টাম্প আউট হয়ে ফেরেন। এর আগে রনি তালুকদার ফেরেন ৬ রানে। এছাড়াও ফজলে মাহমুদ রানের খাতা খোলার আগে রান আউটে কাটা পড়েন। মাঠে আছেন এখন মেহেদি হাসান ও নুরুল হাসান সোহান। দুইজন প্রতিরোধ গড়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
ঝড় তুলে বিদায় রাজশাহী অধিনায়ক শান্তর
ব্যাট হাতে রুবেল হোসেনের প্রথম ওভারে কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন রাজশাহী অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। চাপে পড়ে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে মারতেও যান। তবে তার চাপ কাটান, অপরপ্রান্তে থাকা আনিসুল ইমন। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শুরু করেন ডানহাতি ইমন। চাপ কেটে গেলে অধিনায়ক শান্তও শুরু করেন ঝড়ো ব্যাটিং। নাসুম আহমেদের প্রথম ওভারে ৪ বল থেকে দুই ছয়ে তোলেন ১৪ রান। তবে এরপরেই আরেকটি ছয় হাঁকাতে গিয়ে বিদায় নেন ১৭ রান করা শান্ত।
রাজশাহী অধিনায়ককে নাসুমের বলে ক্যাচে লুফে নেন তানজিদ তামিম। শান্ত ফিরলেও ইমন তার স্বভাবসুলভ ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন। একবার জীবন পাওয়া ইমন পাওয়ারপ্লে শেষে এই ডানহাতির উইলোতে যোগ হয়েছে ২৩ রান। খেলেছেন মাত্র ১৩ বল। তার সঙ্গে মাঠে আছেন অভিজ্ঞ রনি তালুকদার। তিনি অপরাজিত আছেন ৬ রানে।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত মুশফিকের
টুর্নামেন্টের পর্দা উঠছে বেক্সিমকো ঢাকা ও মিনিস্টার রাজশাহীর মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে। প্রথম ম্যাচে টসে জিতে বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর মিনিস্টার রাজশাহীকে।
মিনিস্টার রাজশাহী একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান, ফরহাদ রেজা, মোহাম্মদ আশরাফুল, রনি তালুকদার, এবাদত হোসেন, ফজলে মাহমুদ, মেহেদি হাসান, আরাফাত সানি, মুকিদুল মুগ্ধ, আনিসুল ইমন।
বেক্সিমকো ঢাকা একাদশ: মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), রুবেল হোসেন, তানজিদ হোসেন তামিম, নাসুম আহমেদ, নাঈম হাসান, ইয়াসির আলী রাব্বী, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান রানা, আকবর আলী, মুক্তার আলী, নাঈম শেখ।