লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে হটিয়ে ২০২০ সালে ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন রবার্ট লেওয়ানডস্কি। বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফিফার সদরদফতরে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ড’ ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।
গত বছরের ২০ জুলাই থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত পারফরম্যান্স বিবেচনায় গত ২৫ নভেম্বর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের বেছে নেয়া ১১ জনের তালিকা প্রকাশ করে ফিফা। আর গত শুক্রবার সংক্ষিপ্ত তালিকা তিনজনে নামিয়ে আনা হয়।
লেওয়ানডস্কি গত মৌসুমে অংশ নেয়া প্রত্যেক প্রতিযোগিতাতেই সর্বাধিক গোলদাতা হয়েছেন। এই তালিকায় আছে বুন্দেসলিগা, ডিএফবি পোকাল, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। বায়ার্নের জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এই তিন প্রতিযোগিতাতেই।
জিতেছেন উয়েফা সুপার কাপ, জার্মান সুপার কাপেও। বুন্দেসলিগায় টানা তৃতীয়বার তিনি টপ স্কোরার। ডিএফবি কাপে টানা চতুর্থবার তিনি টপ স্কোরার। জার্মানির বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন তিনি। উয়েফা পুরুষদেরও বর্যসেরা ফুটবলার হয়েছেন।
গত এক দশক ধরে এই পুরস্কার ভাগাভাগি করে এসেছেন মেসি-রোনালদো। ব্যালড ডি’ওর পুরস্কারের ক্ষেত্রেও দুজনে দাপট দেখিয়েছেন। ব্যতিক্রম শুধু ২০১৮ সালে, যখন লুকা মদরিচ জিতেছিলেন সেরার সম্মান। এবার লেবানডস্কিও মেসি-রোনালদোর সাম্রাজ্যে হানা দিলেন। বায়ার্নের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জেরে বাকিদের ছাপিয়ে গেলেন তিনি।
মেসি লা লিগায় টানা সপ্তমবার টপ স্কোরার হয়েছেন। যা রেকর্ড। লা-লিগায় গতবার রানার্স হয়েছে তার দল বার্সেলোনা। ক্যারিয়ারে ৭০০ গোল হয়ে গেছে তার। এক মৌসুমে ২১ অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। আর্জেন্টিনার কেউ এর আগে লরিয়ুস বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ হননি। কোনো ফুটবলারও মেসির আগে এই সম্মান পাননি।
রোনালদো আবার সিরিআ জয়ী জুভেন্টাসের সদস্য। কোপা ইতালিয়ায় তিনি রানার-আপ। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় উঠেছিল তার দল। সিরিআ-তে তিনি দ্বিতীয় সর্বাধিক গোলদাতা। প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা ও সিরিআ-তে প্রথম ফুটবলার হিসেবে ৫০ গোলের রেকর্ড রয়েছে তার।
২০১৯-২০ মৌসুমে জুভেন্টাসের হয়ে করেছেন ৩৭ গোল। যা ক্লাবের হয়ে রেকর্ড। ইউরোপের প্রথম ফুটবলার হিসেবে পৌঁছেছেন ১০০ আন্তর্জাতিক গোলে। আলি দায়ির (১০৯) পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিনিই দ্বিতীয় সর্বাধিক গোলদাতা (১০২)।