মেসি বার্সার জীবন বীমা!

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

লা লিগার শিরোপার কাছাকাছি বার্সা। তবে শিরোপা এখনো হাতে ওঠেনি। এদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে এরনেস্তো ভালভার্দের দল। বার্সা কোচের অপেক্ষা তাই আগামী রোববার। বার্সার হয়ে প্রথম শিরোপা যে ঐ দিনই ছুঁয়ে দেখার সুযোগ কোচের সামনে। ভালভার্দের দল ২২ এপ্রিল কোপা দেল রে’ তে সেভিয়ার মুখোমুখি হবে। আর কোচ প্রথম সাফল্য পেতে তাকিয়ে আছেন মেসির দিকে।

বার্সা কোপা দেল রে’র ফাইনালে উঠেছে ফেব্রুয়ারির মাঝমাঝিতে। তখন তারা পরিষ্কার ফেবারিট ছিল। ফাইনাল খেলা আর শিরোপা জেতা তখন ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু লা লিগায় সেভিয়ার বিপক্ষে হারতে বসেছিল বার্সা। পরে মৌসুমের প্রথম পরাজয় থেকে বাঁচান মেসি। এরপর রোমার বিপক্ষে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে বার্সা। দগদগে সেই ক্ষত মুছতে না মুছতে আবার নামতে হবে কোপা দেল রে’র ফাইনাল খেলতে। ভয় তো বার্সার থাকবেই।

রোমার বিপক্ষে বার্সার অপ্রত্যাশিত হার বার্সাকে ওই ভয় চোখ দেখাচ্ছে। তবে ভালভার্দের জন্য আশার কথা হলো মেসির ফিট থাকা। সেভিয়ার বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচে মেসির খেলা অনিশ্চিত ছিল। রোমার বিপক্ষে পুরো সময় মাঠে থাকলেও মেসি মাঠ কাঁপাতে পারেন নি। তাই সুস্থ মেসিকে পাওয়াই ভালভার্দের প্রাপ্তি। বার্সায় তো মেসির প্রভাব জীবন বীমার মতো।

মেসি এবারের লিগে গোল করেছেন ২৯ টি। পাশাপাশি ১২ গোলে করেছেন সহায়তা। তার গোলই বলতে গেলে সামনের সপ্তাহে বার্সার লা লিগার শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে। কিন্তু মেসি গোল করতে না পারলে বা গোলে সহায়তা না করলে বার্সার অবস্থান থাকতো চারে। পয়েন্ট ৮৩ নয় থাকত ৬৩। এখানেই মেসির প্রভাব স্পষ্ট।

শুধু লা লিগায় নয়। চ্যাম্পিয়নস লিগেও মেসির প্রভার ছিল বেশি। আলাদা করে বললে চেলসির বিপক্ষের ম্যাচে। প্রথম লেগে বার্সার মাঠ থেকে মেসির একমাত্র গোল সমতা এবং অ্যাওয়ে গোল নিয়ে ফেরা। এরপর ঘরের মাঠে দুই গোল ও একটি সহায়তা করে মেসি একাই হারিয়েছে চেলসিকে।

এছাড়া তার গোল আর বার্সার ফাইনাল শিরোপা জেতা অনেকটা সমর্থক। কারণ বার্সার জার্সি গায়ে চড়ানোর পর দুই লেগ মিলিয়ে ২৬ টি ফাইনাল খেলেছেন তিনি। এরমধ্যে তার দল জিতেছে ২০ ম্যাচে। মেসি ওই ফাইনাল ম্যাচ থেকে গোল করেছেন ২৭ টি। ম্যাচ প্রতি গোল একটির বেশি। কোপা দেল রে’র ফাইনালে তাই বার্সা কোচ ভালভার্দের মেসি নির্ভরতা ছাড়া উপায় কী?