কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল এখন আকর্ষণীয় পর্বে। নকআউট ম্যাচ মানেই এক দলের হাসি, আরেক দলের বিদায়ের কান্না। বিশ্বকাপ ঘিরে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ দুইভাগে বিভক্ত। এক দল ব্রাজিলের আরেক দল আর্জেন্টিনার।
দেশের দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার অবশ্য সেভাবে কোন দলেরই সমর্থক নন। ফুটবল খেলা পছন্দ করেন। বিশ্বকাপের খেলা নিয়মিত দেখা সম্ভব না হলেও খবর রাখেন। কোন ম্যাচে কি হলো তা নখদর্পণে রাখার চেষ্টা করেন।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলতো এখন মাঝপথে। ৩২ দলের এই টুর্নামেন্ট থেকে ২০ দল এরই মধ্যে দেশের পথ ধরেছে। সোমবার রাতে বিদায় নেবে আরো দুই দল। ১৮ ডিসেম্বর দুই দলের মধ্যে হবে চূড়ান্ত লড়াই। সে দুই দল কারা এবং কোন দল জিতবে মরুর দেশের বিশ্বকাপ সেটাই দেখার।
কোন দলকে কট্টরভাবে সমর্থন না করলেও লিওনেল মেসির ভক্ত তিনি। পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর খেলাও ভালো লাগে। শিরিন বলেন, ‘আমার বন্ধু-বান্ধব এবং গুরুজনের অনেকেই আর্জেন্টিনার সমর্থক। আমি নির্দিষ্ট কোন দলকে সমর্থন করি না। সুন্দর ফুটবল খেলা উপভোগ করি। মেসির খেলা ভালো লাগে। রোনালদো স্টাইলিস্ট ফুটবলার। তারকা এই ফুটবলাররা বিশ্বজুড়ে সুন্দর একটা ইমেজ তৈরি করেছে সেটা খুবই আনন্দদায়ক।’
বিশ্বকাপের খেলাগুলো দেখছেন? ‘সব খেলা দেখতে পারি না। সকালে অনুশীলন থাকে বলে গভীর রাতের খেলা দেখা হয় না। অন্য খেলাগুলো দেখি। গভীর রাতের খেলার খবর নেই সকালে। আমাদের সামনে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। তাই অনুশীলনে বেশি মনযোগ ট্র্যাকেই’ – বলছিলেন দেশের দ্রুততম মানবী।
খেলা কি একা দেখেন নাকি অনেকে মিলে? শিরিন বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে (যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদালয়) অনেকে এক সঙ্গে বসে খেলা দেখি। আমি ২০১০ থেকে বিশ্বকাপের খেলা দেখি। ওই বিশ্বকাপের কথা আমরা খুব মনে আছে। স্পেন সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।’
বলছিলেন আপনি মেসির ভক্ত, তার খেলা ভালো লাগে। তো তার ভক্ত হয়েছেন কত দিন আগে? ‘আমি যখন ফুটবল বুঝতে শিখেছি এবং মেসির খেলা দেখেছি তখন থেকেই তার খেলা ভালো লাগে। তাই আমি তার ভক্ত’-বলেছেন শিরিন আক্তার।
কি মনে হয় এবার কোন দল চ্যাম্পিয়ন হতে পারে? শিরিন মনে করেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দাবিদার বেশ কয়েকটি দল। তবে তিনি চান আর্জেন্টিনাই যেন চ্যাম্পিয়ন হয়। ‘মেসির এটা শেষ বিশ্বকাপ। এবার না পারলে আর বিশ্বকাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরা হবে না তার। তাই আমি চাই আর্জেন্টিনা জিতুক, মেসির হাতেই উঠুক ট্রফি। সেটা দেখলেই আমার ভালো লাগবে’ – বলেছেন দেশের দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার।