ফুটবল একার খেলা না। দলগত খেলা ফুটবল। আর্জেন্টিনাও দল হয়ে ফুটবল খেলে। কিন্তু আর্জেন্টিনার দলের ১০ জন মিলে যা মেসি একা তাই। মেসিকে ছাড়া আর্জেন্টিনার ম্যাচগুলো ঘাটলে তা হয়তো স্পষ্ট হবে। আর সর্বশেষ উদাহরণ তো স্পেনের বিপক্ষে ৬-১ গোলের হার। আর তাই সাবেক বার্সা তারকা প্রাট্রিক ক্লাইভার্ট মনে করেন, মেসি আর্জেন্টিনার অর্ধেক।
তার কথাটা অবশ্য আমলে না নিয়ে উপায় নেই। আর্জেন্টিনা যে রাশিয়া মাতাতে যাচ্ছে তা মেসির জন্যই। তিনি না থাকলে ইতালি, নেদারল্যান্ডসের মতো মেসি-আর্জেন্টিনাকেও হারাতো রাশিয়া। হারাতো বিশ্বকাপের রং। কোথাও উড়তো না আর্জেন্টিনার আকাশি-নীল পতাকা। বাছাইপর্বে লিওনেল মেসির দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকেই তো রাশিয়ার টিকিট হাতে পায় সাম্পাওলির দল।
২০১৪ বিশ্বকাপেও লিওর কাঁধে ভর চড়ে বিশ্বকাপের ফাইনাল যায় আর্জেন্টিনা। ফাইনালে জার্মানির কাছে হারলেও মেসি তার পারফর্ম দিয়ে ভক্তদের মন জয় করেন। এবার আবার দুয়ারে বিশ্বকাপ। দারুণ ফর্মে আছেন মেসি। বিশ্বকাপের আগে খেলা আর্জেন্টিনার একমাত্র প্রীতি ম্যাচে হ্যাটট্রিকও করে ফেলেছেন তিনি। আর তাই সাবেক বার্সেলোনা তারকা প্যাট্রিক ক্লুইভার্ট মেসিকে আর্জেন্টিনার অর্ধাংশ মনে করেন।
প্রাক্তন এই ডাচ তারকা বলেন, ‘বার্সা আর আর্জেন্টিনা উভয় দলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় মেসি। আমার মনে হয় আর্জেন্টিনার অর্ধেকই মেসি। যদিও তার একার ওপরই দল নির্ভরশীল নয়। তবে মেসি এমন একজন ফুটবলার যে সবদিকেই দক্ষ।’ বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ারে মেসি যে ম্যাচগুলো খেলেননি সেগুলোতে ঢের ভুগতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে।
আর্জেন্টিনা জন্য মেসি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা উল্লেখ করে ক্লুইভার্ট বলেন, ‘আমি তাকে মানুষ হিসেবেই দেখি। আসলে তার যোগ্যতা কিংবা ফুটবলশৈলী নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। সে না থাকলে আর্জেন্টিনা দলের কেমন অবস্থা হয় সেটা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেই দেখা গেছে। এককথায় মেসি দুর্দান্ত।’ মেসি যে আর্জেন্টিনার জন্য কি তা হয়তো বিশ্বকাপে মেসিদের ১৬ জুনের আইসল্যান্ড ম্যাচে দেখা যাবে।