মেরামত শেষে ৩ ঘন্টা বিলম্বে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে তাসরিফ-৩ নামের যাত্রীবাহি লঞ্চ।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টায় লঞ্চটি বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চরমোনাই লঞ্চঘাট এলাকা থেকে ত্যাগ করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
এরআগে লঞ্চের তলার অংশে (ফ্যান্টার) ফাটল দেখা দিলে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে চরমোনাই লঞ্চঘাট সলগ্ন নদী তীরে ২ হাজার যাত্রী নিয়ে নোঙ্গর করে তাসরিফ-৩।
যাত্রীদের চাপের মুখে তৎক্ষনাত ফাটল ধরা অংশে মেরামত শুরু করে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ঘটনার পরপরই বিআইডব্লিউটিএ, জেলা প্রশাসন ও নৌ-পুলিশের কর্মকর্তাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। তারা মেরামত কার্যক্রম পর্যবেক্ষন করে যাত্রীবোঝাই লঞ্চটি পুনরায় পরীক্ষামুলক চালনা করে।
এতে নতুন কোন সমস্যা দেখা না দেয়ায় লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয় বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা সরকার মিঠু।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, বিআইডব্লিউটিএ’র প্রকৌশলী, বরিশাল নদী বন্দর, নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগ এবং নৌ পুলিশের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মেরামতের পর লঞ্চটি চালনা করে দেখা হয়। পরে সম্মিলিত সিদ্ধান্তে যাত্রী নিয়ে লঞ্চটিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার জন্য বলা হয়।
রাজধানী ঢাকার উদেশ্যে পন্টুন ছেড়ে যাবার পরপরই কীর্তনখোলা নদীতে ৫টি লঞ্চ ও একটি স্টিমারের মধ্যে ঘটেছে পৃর্থক তিনটি দূর্ঘটনা।
এরআগে রাত পৌনে ৮ টার দিকে বরিশাল নদী বন্দরের ঘাট ত্যাগ করার সময় এমভি তাসরিফ-৩ লঞ্চের ক্ষতিগ্রস্থ সাথে এমভি সুন্দরবন-৮ লঞ্চের ধাক্কা লাগে। এতে তাসরিফ লঞ্চের ডান পাশের মাঝ বরাবর অংশে (ফ্যান্টার) ফাটল দেখা দেয়।
কিছুদুর যাওয়ার পরে যাত্রীদের মাঝে বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিলে লঞ্চটিকে নদীতীরে নোঙ্গর করার সিদ্ধান্ত দেয়া হয় বলে জানান বরিশাল নৌ থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এসআই শফিকুল ইসলাম।