আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মেধাবীরা রাজনীতিতে না এলে রাজনীতি মেধাশূন্য হয়ে পড়বে। এজন্য মেধাবীদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে হবে।’
শনিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক উপ-কমিটির কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
ছাত্ররাজনীতিকে সুনাম ও ঐতিহ্যের ধারায় ফিরিয়ে আনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা এখনও তরুণদের পেট্রোল বোমা, আগুনসন্ত্রাস ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতার পথে ঠেলে দিচ্ছে, তাদের এসব নেতিবাচকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ এ দেশের উন্নয়ন এবং ইমেজকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে সে বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’
তরুণ প্রজন্ম আজ মাদক, সাইবার অপরাধ, আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক দিকসহ নানান চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে, জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রযুক্তি যেমন বদলে দিয়েছে, তেমনই এর ক্ষতিকর প্রভাবও আছে। একদিকে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে হবে, অপরদিকে এর নেতিবাচক দিক থেকে তরুণদের রক্ষা করতে হবে।’
তারুণ্যের শক্তিকে রাষ্ট্র নির্মাণে কাজে লাগাতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন, উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড জোরদার ও ক্রীড়া চর্চার মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষায় কাজ করছেন।’
তিনি বলেন, ‘চরিত্রবানরা রাজনীতিতে না এলে রাজনীতি চরিত্রহীনদের হাত চলে যাবে।’
‘হিজবুল বাহার জাহাজে বিহারের নামে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার মাধ্যমে অপরাজনীতি শুরু হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সে অপরাজনীতি বন্ধের মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনে স্বস্তি এবং লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছেন,’ বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা ও দলের গবেষণা সংস্থা ‘সিআরআই’র সদস্যরা।