রাজধানীসহ সারাদেশে কেন্দ্রীয়ভাবে আগামী ২ এপ্রিল এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষা ঘিরে প্রশ্নফাঁসের গুজব ও প্রতারক চক্র থেকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাবধান থাকার অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর। আর এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে অধিদফতর।
এ বিষয়ে গত ২৪ মার্চ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবিব স্বাক্ষরিত একটি সতর্কবার্তাও জারি করা হয়েছে।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, প্রতিবছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে কিছু কুচক্রী মহল, দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি বা গ্রুপ কোচিং সেন্টারের নামে বা ব্যক্তিগতভাবে অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যম (ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার ও ইমো) মাধ্যমে শতভাগ কমন সাজেশন- বলে গোপনে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করে থাকে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এভাবে অর্থ হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। এ কাজ অবশ্যই জনস্বার্থের পরিপন্থী।
সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা সবসময়ই সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে বর্তমান সরকারের ঊর্ধ্বতন নীতিনির্ধারণী মহলও সজাগ হয়েছেন। সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষায় সকল সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যেই সকল মেডিকেল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নির্দেশনায় ওভারসাইট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরকে এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় সর্বদা নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে জানাতে চাই যে, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণের কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যেই সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জনস্বার্থ পরিপন্থী অনৈতিক কর্মকান্ড রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ালে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেউ গুজব ছড়ালে স্বাস্থ্য অধিদফতর/স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের কন্ট্রোলরুম- টেলিফোন ০২২২২২৮৫৯৩৩, ০২২২২২৯৭২৫৩ এবং মোবাইল নাম্বার ০১৭৫৯১১৪৪৮৮ নম্বরে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানানোর অনুরোধ জানানো হয়। একইসঙ্গে প্রতারণার জালে পা না দিয়ে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করে পরীক্ষায় নিজ যোগ্যতা প্রদর্শনের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের উপদেশ দেয়া যাচ্ছে।
মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ইতিহাসে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক এক লাখ ৮২ হাজার ৮৭৪ জন অংশগ্রহণ করছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৭২ হাজারের কিছু বেশি।