গত ১৫ মার্চ কানাডার একটি হাসপাতালে ছুটির ঘণ্টাখ্যাত নির্মাতা আজিজুর রহমান মারা যান। আজ রোববার (২০ মার্চ) দেশে আসছে তার মরদেহ।
বাদ মাগরিব এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে তার জানাজা। এখানে জানাজা ও ফুলেল শ্রদ্ধা শেষে আজিজুর রহমানের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ধানমন্ডিতে তার বাসভবনে। সেখান থেকে আগামীকাল সকালে হেলিকপ্টারে গ্রামের বাড়ি বগুড়ার সান্তাহারে।
এদিকে প্রিয় পরিচালককে বিদায় জানাতে এফডিসি প্রস্তুত। বিকেলে এখানে পা রেখেই পাওয়া গেলো বিষণ্নতার আমেজ। যে মানুষ দীর্ঘদিন এখানে লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের হাক ডেকেছেন সেই মানুষটিকেই আজ শেষবারের মতো কাছে পাবে এফডিসি।
তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা হাজির হচ্ছেন শেষ বিদায় দেবেন বলে। অনেকদিন এফডিসিতে আসেন না এমন লোকজনও আজ আসছেন।
এদিকে জানা গেলো চমকপ্রদ এক তথ্য। মৃত্যুর পর কানাডা থেকে মরদেহ দেশে আনা ও দাফন পর্যন্ত কোথায় কি হবে তার সবই নিজে ঠিক করে রেখে গেছেন আজিজুর রহমান। শুধু তাই নয়, কোথায় কি ব্যয় হবে তাও তিনি নির্দিষ্ট করে দিয়ে গেছেন পরিবারের সদস্যদের কাছে।
জানা গেছে, খ্যাতিমান পরিচালক আজিজুর রহমানের মরদেহ আজ (২০ মার্চ) টার্কিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার মরদেহ সরাসরি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থায় নিয়ে যাওয়া হবে এবং প্রথম জানাজা পর্যন্ত সেখানে রাখা হবে।
তারপর সেখান থেকে মরদেহ যাবে ধানমন্ডিতে। সেখানে সাত নম্বর সড়কের মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ, ফ্রিজিং লাশবাহী গাড়িতে রাখা হবে নিজ বাড়ির পার্কিংয়ে। সেখানে তার বাসভবনেই রাত কাটাবেন নিথর দেহের আজিজুর রহমান।
সকালে হেলিকপ্টারযোগে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে শান্তাহারে, তার স্থায়ী ঠিকানায়। সেখানে তৃতীয় জানাজা শেষে, তার নির্ধারণ করে রাখা কবরে তাকে দাফন করা হবে। এটি তার মায়ের কবর। মায়ের কোলেই শেষ শয্যা যাওয়ার ইচ্ছা রেখে গেছেন তিনি।