সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়েছে জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলামের মরদেহ।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সেখানে তার মরদেহটি নেওয়া হয়। এরপরই শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়।
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে এবং দুই দফা জানাজার পর নূরউল ইসলামের মরদেহ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
৯২ বছর বয়সে বুধবার রাত সাড়ে নয়টায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মুস্তাফা নূরউল ইসলাম।
মুস্তাফা নূরউল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার ভ্রাতুস্পুত্রী সামিয়া মহসীন জানান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় শহীদ মিনারে শুক্রবার সবেলা ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ রাখা হবে।
তিনি জানান, এর পর বাদ জুম্মা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আরেক দফা জানাজা শেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বিশেষভাবে সংরক্ষিত স্থানে তাকে দাফন করা হবে।
সামিয়া মহসীন জানান, মুস্তাফা নূরউল ইসলামের বড় ছেলে মোস্তাফা ইমরুল কায়েস বর্তমানে দেশে রয়েছেন। ছোট ছেলে রাজন ফিরবেন শুক্রবার সকালে। কানাডাপ্রবাসী দুই মেয়ে আতিয়া ইয়াসমিন ও নন্দিতা ইয়াসমিন ফিরবেন শনিবার। তাদের সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্তেই শুক্রবার তার দাফন করা হবে।
জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নুরউল ইসলামের জন্ম ১৯২৭ সালে ১ মে বগুড়ায় । তিনি শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ছিলেন। নিজ কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদক লাভ করেন।