বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, মুসলিমবান্ধব পর্যটনের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদানই বাংলাদেশে বিদ্যমান। তাই মুসলিমবান্ধব পর্যটনের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য হতে পারে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের অঙ্গ সংস্থা স্ট্যাটিস্টিক্যাল, ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ ট্রেনিং সেন্টার ফর ইসলামিক কান্ট্রিজ কর্তৃক মুসলিমবান্ধব পর্যটনের ওপর আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময়ই মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে যোগাযোগ এবং চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তার উদ্যোগেই অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের সদস্যপদ লাভ করে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন গঠন করেন। আর তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০১০ সালে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক।’
সেমিনারে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, ‘পর্যটন শুধু একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই নিশ্চিত করে না, একই সঙ্গে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন তৈরি করে। একটি দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে জানার সুযোগ করে দেয়। আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছি।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ওআইসির অঙ্গ-সংস্থা স্ট্যাটিস্টিক্যাল, ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ ট্রেনিং সেন্টার ফর ইসলামিক কান্ট্রিজের মহাপরিচালক নেবিল দাবুর এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস।