মুশফিকুর রহীম এখনও অপরাজিত। তিনি আউট হয়েছিলেন, ভারতের বিপক্ষে নিদাহাস ট্রফির প্রথম পর্বের ম্যাচে ১৮ রানে। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অবিশ্বাস্য ম্যাচ জেতানোর পর ভারতের বিপক্ষে ফিরতি পর্বের এই ম্যাচেও থাকলেন অপরাজিত। ভারতের করা ১৭৬ রানের জবাব দিতে নেমে যখন অন্যপ্রান্তে সতীর্থরা একের পর এক আসা-যাওয়ার মিছিল করছিলেন, তখন অন্যপ্রান্তে অবিচল মুশফিকুর রহীম। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি ৭২ রানে। খেলেছেন ৫৫ বল।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২১৫ রানের বিশাল স্কোর তাড়া করে অবিশ্বাস্য জয় উপহার দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহীম। ওই ম্যাচে ৩৫ বলে ৭২ রানের অপরাজিত, অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেছিলেন বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। ওই ম্যাচের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে থিসারা পেরেরার বল থেকে সিঙ্গেল নিয়ে বিজয় উদযাপন করতে গিয়ে যেভাবে নাগিন ড্যান্স দিয়েছিলেন মুশফিক, তা মুহূর্তেই বিখ্যাত হয়ে ওঠে।
মুশফিক ঘোষণা দিয়েছিলেন, ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচে জিতেও নাগিন ড্যান্স দিতে চান তিনি। তার আশা পূরণ হয়নি। নাগিন ড্যান্স দেয়ার সুযোগ পাননি তিনি; কিন্তু মুশফিক নিজেও কি হেরেছেন? ভারতের মোহাম্মদ শিরাজ, শার্দুল ঠাকুর, ওয়াশিংটন সুন্দর, ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল কিংবা বিজয় শঙ্কররা সাঁড়াশি বোলিং করার কারণেই বাংলাদেশ হেরেছে ১৭ রানের ব্যবধানে।
কিন্তু মুশফিক তো থেকে গেলেন অপরাজিত। তিনি হারেননি। তিনি অপরাজেয়। ভারতীয় বোলাররা তাকে ছুঁতেও পারেনি। বীরের মতো লড়াই করে পরাজিত ম্যাচের নায়ক হয়ে রইলেন মুশফিকই। সুতরাং, মুশফিক হারেরনি, হেরেছে বাংলাদেশ।
ভারতের রোহিত শর্মার (৮৯) সঙ্গে সুরেশ রায়না ৪৭ এবং শিখর ধাওয়ান ৩৫ রান করে যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে মুশফিককে যদি তেমন দু-তিনজন সহযোগিতা করতে পারতেন, তাহলে বাংলাদেশও হয়তো জিতে যেতে পারতো। তখন, মুশফিক তো হারতেনই না, জয় পেতো বাংলাদেশও।