সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন তার স্ত্রী। তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি ১৯ বছর। বিবাহিত জীবনে আমাদের সংসারে এক মেয়ে রামিসা ফারিহা রাজকন্যা (১৬) এবং এক ছেলে হাসান আবরার মাহির যুবরাজ (১১)। বিবাদী আমার স্বামী। তিনি বর্তমান সরকারের সংসদ সদস্য এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি কারণে-অকারণে আমাকে ও সন্তানদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন। হত্যার হুমকিও দিচ্ছেন। আজ ৬ জানুয়ারি, সময় অনুমান ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে আগের মতো আমাকে ও আমার সন্তানদের গালিগালাজ করে এবং মারধর করার জন্য উদ্যত হলে আমি ৯৯৯-এ কল করি। পরে ধানমন্ডি থানা পুলিশ বাসার ঠিকানায় পৌঁছালে বিবাদী বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এমতাবস্থায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি। বিবাদী আমাকে এবং আমার সন্তানদের যে কোনো সময় ক্ষতি করতে পারে।’
এর আগে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চান ডা. জাহানারা এহসান। পরে তিনি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করার জন্য থানায় যান।
এক নারীর সঙ্গে মুরাদ হাসানের আপত্তিকর ও বিতর্কিত কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার দেওয়া অসৌজন্যমূলক বক্তব্য মুহূর্তের মধ্যে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি নিয়ে সর্বমহলে সমালোচনা শুরু হয়। অডিও ক্লিপটিতে শোনা যায়, ওই নারীকে তাৎক্ষণিক তার কাছে যেতে বলছেন মুরাদ হাসান। কিন্তু ওই নারী বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং হুমকি দেন তিনি।
আলোচনা-সমালোচনার একপর্যায়ে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুরাদ হাসান। পদত্যাগের পর তিনি কানাডায় ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে সেখান থেকে দুবাইগামী একটি ফ্লাইটে তুলে দেওয়া হয় তাকে। দুবাইয়ে ঢুকতে না পেরে অবশেষে দেশে ফিরেন তিনি।