ফাফ ডু প্লেসি, লিটন দাস, মইন আলি আর সুনিল নারিনের মত ক্রিকেটারে সাজানো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তার সঙ্গে আছেন দেশ সেরা পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।
ওদিকে ফরচুন বরিশালে আছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা ক্রিস গেইল আর ডোয়াইন ব্রাভো; কিন্তু তাদের ছাপিয়ে উঠে আসছে দুটি নাম। দু’জনই বরিশালের। একজন মুজিব-উর রহমান, অন্যজন সাকিব আল হাসান।
ধারণা করা হচ্ছে, উইকেট যেমনই থাকুক, সোমবারের কোয়ালিফায়ারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন এই দু’জন। আফগানিস্তানের ‘রহস্যময়’ স্পিনার মুজিব আর বাংলাদেশের ‘প্রাণ’ সাকিব আল হাসানের ৪+৪ = ৮ ওভারই হতে পারে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
ভাববেন না এটা শুধু ভক্ত ও সমর্থকদের কথা। খোদ কুমিল্লা ভিক্টারিয়ান্স শিবিরেরও যত চিন্তা সাকিব আর মুজিবের এই ৮ ওভার বোলিং।
কেন তা থাকবে না? ১৫ উইকেট নিয়ে সাকিব তিন নম্বর শিকারী। তৃতীয় সর্বাধিক উইকেট শিকারীই শুধু নন, এখনও পর্যন্ত এবারের বিপিএলে সবচেয়ে কৃপণ ও মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন সাকিব। ওভার পিছু রান দেয়ার পরিমাণ মাত্র ৪.৯৫ করে।
আর মুজিবের ঝুলিতে মাত্র ৬ উইকেট জমা পড়লেও এ আফগানও রান দিয়েছেন খুব কম; ওভার প্রতি ৫.২৫ করে। কাজেই এই দুই স্পিনারকে নিয়েই যত চিন্তা কুমিল্লার।
দলটির উপদেষ্টা কোচ স্টিভ রোডস অকপটেই স্বীকার করেছেন, ‘মুজিব আর সাকিব সত্যিই খুবই মানসম্পন্ন বোলার।’
বরিশালের দুই প্রধান স্পিনার সাকিব আর মুজিবের স্পিন সামলাতে আপনারা কী কৌশল আঁটছেন? তাদের দুজনার ৮ ওভার কতটা কঠিন? প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হলে কুমিল্লার উপদেষ্টা কোচ শুরুতে খানিক রসিকতা করে জবাব দেন, আমরা ওদেরকে ওভারে ছয়-ছক্কায় উড়িয়ে দেব (হাসি)।’
কিন্তু পরক্ষণেই বাস্তবতায় ফেরেন। বলে ওঠেন, ‘হ্যাঁ, আসলেই ঠিক। তারা দু’জন সত্যিই কঠিন বোলার। মুজিবের কোয়ালিটি দারুণ, সাকিবের কোয়ালিটি খুব ভালো। কাজটা কঠিন তাদের বিপক্ষে। তারা দারুণ মানসম্পন্ন স্পিনার, জানে আমরা কী করতে চাইব।’
তবে নেতিবাচক মানসিকতা নিয়ে নামতে চান না রোডস, ‘সব ক্রিকেটার, সব বোলারের সামনেই ইতিবাচক থাকব। রান তোলার চেষ্টা করব।’
তাহলে কি মুজিব এবং সাকিবের ৮ ওভারে না মেরে দেখে খেলে ফেলার চিন্তা কুমিল্লার? রোডসের জবাব, ‘ওদেরকে শুধু ডিফেন্স করে যাওয়াটা কাজের কিছু হবে না। ৮ ওভার নষ্ট হবে তাহলে। আশা করি, আমরা এই দুই বোলারকে ঠিকঠাক সামলাতে পারব।’