‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ বিবাহিত!

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

এ যেন রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পের মতো ”শেষ হইয়াও হইলো না শেষ”-এর মতো অবস্থা। বলছি, ”মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ” প্রসঙ্গে।

গত শুক্রবার বেশ জমকালো আয়োজনে ঘোষণা করা হয় মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার বিজয়ীর নাম। ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে যে ঝড় উঠেছে তা এখনও গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহমান। জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল নামের যে প্রতিযোগীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে তিনি নাকি বিচারকদের পছন্দের তালিকায় ছিলেন না। মূলত বিচারকরা যাচাই বাছাইয়ের পর যাকে প্রথম নির্বাচিত করেছিলেন আয়োজকদের নির্দেশে তাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। আর চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে জান্নাতুল নাঈমকে। এমন ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন সেই দিনের ছয় বিচারকও।

কিন্তু নতুন করে এই তর্ক-বিতর্কের কফিনে আরও একটি পেরেক ঠুকলো এভ্রিলের বিয়ের ঘটনা। অর্থাৎ মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ বিবাহিত! খোঁজ-খবর নিয়ে এমনটাই জানা গেছে। চন্দনাইশ উপজেলার ৫ নম্বর বরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামও বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এভ্রিলের বিয়ের খবর নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া এভ্রিলের বিয়ের কয়েকটি আলোকচিত্রও গণমাধ্যমে এসেছে। বিয়ের কাবিননামা ছিল ৮ লাখ টাকার। যার উসুল ধরা হয় তিন লাখ টাকার। এভ্রিলের স্বামী একজন মাদ্রাসার ছাত্র। নাম মোহাম্মদ মুনজুর উদ্দীন। তবে তারা এখন আর স্বামী-স্ত্রী নন। ইতিমধ্যে তাদের বিচ্ছেদও ঘটে গেছে।

এভ্রিলের জন্ম চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার পাঁচ নম্বর বরমা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। তারা দুই ভাই ও দুই বোন। এভ্রিলের বিয়ের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ৫নং বরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, এভ্রিলের বিয়ে হয়েছিল। সে সংসার বেশিদিন টেকেনি শুনেছিলাম। এছাড়া একবার চট্টগ্রামের একটি হোটেলে রেড করার পর তাকে নাকি আটকও করা হয়েছিল। তবে ডিভোর্সের পর আর তার কোনো খোঁজ-খবর জানি না।

                  জান্নাতুল নাঈমকে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’র মুকুট পরিয়ে দেন বিবি রাসেল

অন্যদিকে, জান্নাতুলের সাবেক স্বামী মোহাম্মদ মুনজুর উদ্দীন জানান, তার সঙ্গে জান্নাতুল নাঈমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর দুই মাস জান্নাতুল তাদের বাড়িতে ছিল। এরপর বাপের বাড়িতে নাইওর যায়। দু’দিন পর এক রাতে জান্নাতুলের বাবা ফোন করে বলেন, মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে খুঁজে বের করতে বলেন। কিন্তু জান্নাতুলকে খুঁজে বের করতে মুনজুর রাজি হয়নি।

মুনজুর উদ্দীন আরও বলেন, কিন্তু পরদিন সকালে জান্নাতুল তাকে ফোন করে ডিভোর্স দিতে বলেন। অন্যথায় সে নিজেই ডির্ভোস দেবে। ডিভোর্সের জন্য মুনজুর সপ্তাহখানেক অপেক্ষা করে। পরে দুই পক্ষের সমঝোতায় নগরের লালদীঘি পারের একটি হোটেলে ২০১৩ সালের ১১ জুন কাজির উপস্থিতিতে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ ঘটে।

এদিকে, জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলকে নিয়ে নিত্য নতুন গুঞ্জন ডালপালা মেলছে। ঝড় বইয়ে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সবার একটাই প্রশ্ন, এ ধরনের একটি প্রতিযোগিতাকে কেন কলুষিত করা হলো? মিস ওয়ার্ল্ড-এর মতো একটি প্রতিযোগিতায় যাকে পাঠানো হচ্ছে তিনি কিভাবে ‘মিসেস’ হতে পারেন? নিত্য-নতুন প্রশ্ন ঘিরে ক্ষত-বিক্ষত আয়োজক কর্তৃপক্ষ। কেউ কেউ বলছেন, এভ্রিলকে ঘিরে হয়তো আরও মুখরোচক গল্প পাঠকের জন্য অপেক্ষা করছে।