মিসরজুড়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

মিসর দেশজুড়ে সন্ত্রাসবিরোধী এবং অপরাধমূলক উপাদানের বিরুদ্ধে ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করেছে। সামরিক এক মুখপাত্র গতকাল এ খবর জানিয়েছেন।

সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল তামের রিফাই শুক্রবার ঘোষণা দেন যে, দেশে সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে পুরোপুরি নির্মূল করার পরিকল্পনার আওতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানের প্রথমেই থাকছে সিনাই উপদ্বীপ, পশ্চিমাঞ্চলীয় মরুভূমি এবং নীল নদের আশেপাশের এলাকা। টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে রিফাই বলেন, আইন প্রয়োগকারী বাহিনীগুলো সকালে তাদের সর্বাত্মক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এ অভিযান শুরু করেছে। অভিযানের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ এবং অপরাধমূলক তত্পরতার শেকড় উপড়ে ফেলা। আর এর জন্য তাদের প্রয়োজনীয় যা যা করা উচিত তারা তা-ই করবে। সে কারণেই তারা উত্তর ও মধ্য সিনাই, পশ্চিমাঞ্চলীয় নীল উপত্যকা এবং বদ্বীপসমূহের আশেপাশের এলাকায় এ অভিযান শুরু করেছে। তিনি বলেন, বন্দর এলাকাসমূহে তাদের কঠোর নিরাপত্তা বলয় এবং নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ।

তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা যেন সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকে। কেননা যখন-তখন সেখানে জরুরি মেডিক্যাল সেবা ও আনুষাঙ্গিক সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন হতে পারে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তারা উত্তর সিনাইয়ে অনেক সামরিক যান দেখেছে। উল্লেখ্য, মিসর প্রায় বেশ কয়েক বছর ধরে সিনাইয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

এরই ফলশ্রুতিতে সামরিক শক্তি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুরসিকে উত্খাত করে। এরপর থেকেই সেখানে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজমান হয়ে আসছে। ২০১৪ সালে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৩৩ সৈন্য নিহত হয়। এ কারণে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল-সিসি ওই উপদ্বীপে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। তখন সে স্থানটিকে সন্ত্রাসবাদীদের মূল আখড়া হিসেবে বর্ণনা করা হয়। এরপর আরো একটি বড় ধরনের ঘটনা সেখানে ঘটে। গত বছরের নভেম্বরে উত্তর সিনাই প্রদেশের বির আল-আবেদ এলাকার একটি মসজিদে বোমা ও বন্দুক হামলায় কমপক্ষে ২৩৫ জন লোক নিহত হয়। এই সিনাই উপদ্বীপটি সামরিক বাহিনীর সবসময়ে নজর কেড়েছে।