প্রথম সেশনের তুলনায় দ্বিতীয়ে সেশনটা বেশ ভালোই কেটেছে বাংলাদেশের। প্রথম সেশনে কোনো উইকেটই ফেলতে পারেনি টাইগাররা। দ্বিতীয় সেশনে প্রোটিয়াদের তিনটি উইকেটের পতন ঘটিয়েছে বাংলাদেশ। চা বিরতির আগে ৩ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা সংগ্রহ করেছে ১৬৩ রান।
তবে দ্বিতীয় সেশনে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হয়ে থাকবে মেহেদী হাসান মিরাজের সরাসরি থ্রোতে কিগান পিটারসেনের রানআউটটি। পয়েন্টে খেলে রান নিতে চেয়েছিলেন পিটারসেন এবং টেম্বা বাভুমা। পয়েন্টে দাঁড়ানো ফিল্ডার মিরাজ বিদ্যুৎ গতিতে বল থামিয়ে সেটা থ্রো করেন উইকেটকিপার প্রান্তে। বল সোজা গিয়ে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে।
প্রথমে আম্পায়ার আউট দেননি। টিভি আম্পায়ার কল করেন। রিপ্লেতে দেখা গেলো ব্যাটার পৌঁছার আগেই স্ট্যাম্প ভেঙেছে। ৩৬ বলে ১৯ রান করে আউট হয়ে গেলেন কিগান পিটারসেন।
এ রিপোর্ট লেখার সময় তৃতীয় সেশনের খেলা শুরু হয়ে গেছে। ৩ উইকেট হারিয়ে এ সময় প্রোটিয়াদের স্কোর ১৭৮। ২৭ রান নিয়ে টেম্বা বাভুমা এবং ১৯ রান নিয়ে ব্যাট করছেন রায়ান রিকেলটন।
এর আগে দুই ওপেনার ডিন এলগার এবং সারেল এরউই মিলে বাংলাদেশের বোলারদের একের পর এক হতাশ করেই ছাড়ছিলেন। প্রথম সেশন শেষে ৯৫ রানে অপরাজিত থাকার পর দ্বিতীয় সেশনেও কী স্বাচ্ছন্দে ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন তারা।
কিন্তু ৩৪ এবং ৩৫ তম ওভার দুটি বাংলাদেশের জন্য সৌভাগ্যের। এই দুই ওভারেই দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। পেসার খালেদ আহমেদ এবং স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের বোলিংয়ে পরপর দুই ওভারে উইকেট দিয়ে ফিরে যান তারা দু’জন।
৩৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে খালেদ আহমেদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন ডিন এলগার। লিটন দাস ক্যাচটি ধরতে মোটেও বিলম্ব করলেন না। ১১৩ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ১০১ বলে ৬৭ রান করে আউট হন এলগার।
পরের ওভারে আবারও উইকেট পড়লো। এবার আউট হলেন অপর ওপেনার সারেল এরউই। ১০২ বল খেলে তিনি সংগ্রহ করেন ৪১ রান। দলীয় রান ছিল এ সময় ১১৭। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে যান এরউই।
ডারবানের কিংসমিডে টস জিতে ফিল্ডিং নেয়ার সময় নিশ্চয়ই অধিনায়ক মুমিনুল হক ভেবেছিলেন, বোলিং দিয়ে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাবু করে ফেলবেন শুরুতেই। কিন্তু তার চিন্তার সঙ্গে বাস্তবতার মিল হলো না।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়ারা প্রথম দিনের প্রথম সেশনে কোনো উইকেট হারায়নি। বাংলাদেশের বোলাররা চেষ্টা করে গেছেন টানা। ২৫টি ওভার বল করেও কোনো সাফল্যের দেখা পায়নি তারা। প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ছিল ৯৫ রান।
তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী কিংবা খালিদ আহমেদ, এই তিন পেসারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু তারা প্রোটিয়াদের উদ্বোধনী জুটিতে ভাঙন ধরাতে পারেননি।