মাশরাফি ভাইয়ের মতো অধিনায়কত্ব করা সহজ নয় : মাহমুদউল্লাহ

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

ফরম্যাট বদলে এখন টি-টোয়েন্টি সিরিজের অপেক্ষায় বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। আগামীকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় শুরু হবে কুড়ি ওভারের এই দুই ম্যাচের সিরিজ। তবে তার আগে কাটছে না ওয়ানডে সিরিজের রেশ। কারণ দেশের ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বের অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে শুক্রবার, ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে।

ফলে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগেও ঘুরেফিরে চলে আসছে অধিনায়ক মাশরাফি বিষয়ক আলোচনা। নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হবেন কে?- তা নিয়ে চলছে তুমুল গুঞ্জন, শোনা যাচ্ছে অনেকের কথা। সে তালিকায় সবার ওপরেই রয়েছে বর্তমান টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নাম।

যদি সত্যিই অধিনায়ক মনোনীত হন মাহমুদউল্লাহ, তাহলে মাশরাফির কোন গুণটা অনুসরণ করতে চাইবেন তিনি?- প্রশ্নটা করা হয়েছিল আজ(রোববার) টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পূর্ববর্তী আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে। উত্তরে মাহমুদউল্লাহ বরং জানালেন অধিনায়ক মাশরাফির বিশেষত্ব, কীভাবে পুরো দলকে নির্ভার রাখার কাজটি করতেন দেশের সফলতম অধিনায়ক।

মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আসলে মাশরাফি ভাই হলেন একজন সহজাত দক্ষতা সম্পন্ন অধিনায়ক। তার নিজেরই একটা বিশেষ ধরন ছিল। আমরা কখনও চাপে থাকলে, অফফর্ম নিয়ে বেশি চিন্তা করলে, তিনি আলাদা করে নিয়ে কথা বলতেন, বোঝাতেন। কীভাবে সেই সমস্যা দূর করা যায়? অযথা চিন্তাভাবনা না করার পরামর্শ দিয়ে কিভাবে এগুলে কাজ হবে তাই করার কথা বলতেন। আর বলতেন সমস্যা নিয়ে বেশি না ভেবে সমাধানের কথা ভাবতে।’

মাশরাফি অধ্যায় শেষ। এখন নতুন অধীনায়কের অধীনের ওয়ানডে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাফ জানিয়ে দিলেন, মাশরাফির মতো করে দল চালানো যে কারও জন্যই চ্যালেঞ্জিং হবে।

‘মাশরাফি ভাই দারুণভাবে দল পরিচালনা করেছেন। বেশ দক্ষতার সঙ্গে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন। নতুন কারও জন্য তার মতো করে দল পরিচালনা করা এবং সামনে এগিয়ে নেয়া মোটেও সহজ হবে না। সেটা খুবই কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং হবে। কাজেই আমার কথা হলো যে বা যিনি ওয়ানডে অধিনায়ক হোক না কেন- তার কাজটা হবে খুব চ্যালেঞ্জিং’- বলেন মাহমুদউল্লাহ।

তিনি আরও যোগ করেন, ‘তারপরও আমি বলতে চাই, মাশরাফি ভাই একটা বড় উদহারণ। তিনি একটা মানদণ্ড ঠিক করে গেছেন। যেই অধিনায়ক হোক না কেন, নিশ্চয়ই তিনি সে পথে হাঁটার চেষ্টা করবেন। একেকজনের চিন্তা একেকরকম। সবাই একভাবে ভাবেন না, পরিকল্পনাও করেন যে যার মত। তারপরও মাশরাফি ভাই যে উদাহরণ তৈরি করে গেছেন, তা অনুসরণ করলেও কার্যকর ফল মিলবে।’

অর্থনীতিআইন শৃংখলা বাহিনীজাতীয়প্রচ্ছদ এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথমেই স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন।তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদানের জন্য বৃহৎ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এজন্য চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। স্বাস্থ্য খাতে কোনো প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। এ লক্ষ্যে কমিটির সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।শনিবার পিরোজপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।সভায় পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম, পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ফারুক আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হক, ইউএনও সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভীর সিকদার, ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।এর আগে মন্ত্রী স্বরূপকাঠি পৌর গোরস্থান ও শ্মশান ঘাটের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে যোগ দেন।সেখানে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয় এমন কোন কাজ না করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।পরে মন্ত্রী জাতীয় সমবায় দিবসের র‌্যালিতে অংশ গ্রহণ করেন। সব শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘দলে থাকবেন আর দলের সিদ্ধান্ত বিরোধী কাজ করবেন, তা হবে না। অনুপ্রবেশকারীকে দলে স্থান দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনা রাত-দিন পরিশ্রম করে দেশের উন্নয়ন করে চলছেন। এ ধারা অব্যহত রাখতে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে।’
৬ years ago