মাশরাফির প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগের ১৫ নেতা

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি নিজ এলাকা নড়াইল-২ আসনে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে আরও ১৫ জন মনোনয়নপত্র কিনেছেন।

এরা হলেন- নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আইয়ুব আলী, এসএম আসিফুর রহমান বাপ্পী, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা লে.কর্নেল (অব.) সৈয়দ হাসান ইকবাল, ব্যবসায়ী বাসুদেব ব্যানার্জী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য শেখ মো. আমিনুর রহমান হিমু, কেন্দ্রীয় মহিলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমীন সুলতান শর্মী, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. রাশিদুল বাশার ডলার, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ মো. তরিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এস কে আবু বাকের, সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান তাপস, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাসানুজ্জামান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মো. নূরুজ্জামান, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুন্সী কামরুজ্জামান কাজল ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. সুজন রহমান।

এছাড়াও বর্তমান সংসদ সদস্য ও ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির সভাপতি শেখ হাফিজুর রহমান দলীয় মনোনয়ন নিয়েছেন। তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে মহাজোটের শরীক হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে এই আসনে জয়ী হন। তবে তিনি নড়াইলের সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেননি।

মাশরাফির বাড়ি নড়াইল শহরে। তিনি দর্শনশাস্ত্রে ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ততার কারণে পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। ২০০১ সালের ৮ নভেম্বর টেস্ট ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক তার। গত ১৭ বছরে প্রতিভা, বুদ্ধি, অদম্য সাহস আর সাফল্য দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে। দেশের সবচেয়ে সফল এই অধিনায়কের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো উঠেছে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমি ফাইনালে। দুবার খেলেছেন এশিয়া কাপের ফাইনাল। শুধু সফল অধিনায়কই নন, ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও (২৫০) তিনি।

‘নড়াইল এক্সপ্রেস’খ্যাত মাশরাফির নড়াইলে বেশির ভাগ সময় কাটে সেই সব বন্ধুর সঙ্গে যারা সমাজে সুবিধাবঞ্চিত। এলাকার উন্নয়নে সম্প্রতি গড়ে তুলেছেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন’। এই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান তিনি নিজেই। কোষাধ্যক্ষ নড়াইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মির্জা নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, নড়াইলে দলমত-নির্বিশেষে মাশরাফি সব মহলে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। আমাদের বিশ্বাস, তিনি নির্বাচন করলে প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবে না। মাশরাফির স্বপ্ন, পুরো নড়াইলকে একদিন বদলে দেবে নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর মাশরাফির বাবা গোলাম মুর্তজা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই প্রার্থী হয়েছেন মাশরাফি। এ দায়িত্ব মাশরাফি ভালোভাবে পালন করতে পারবে বলে প্রধানমন্ত্রীর মতো আমিও বিশ্বাস করি।

নড়াইল সদরের ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এবং লোহাগড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে নড়াইল-২ আসন গঠিত। এখানে মোট ভোটার ২ লাখ ৭২ হাজার ১৫৮।