মাশরাফির না থাকাটা পরিষ্কার করল বিসিবি

:
: ৬ years ago

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর সামনে রেখে খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যদের ভিসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর দশটা বিদেশ সফরের মতো ক্যারিবীয় সফরের জন্য সরকারি অনুমতিপত্র (গভর্নমেন্ট অর্ডার বা জিও) নিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে যে ২২ খেলোয়াড়ের নাম দিয়েছে বিসিবি, সেখানে নেই মাশরাফি বিন মুর্তজার নাম। কেন নেই সেটি আজ পরিষ্কার করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দীন চৌধুরী।

বিদেশ সফরের আগে ভিসা পেতে জিও নিতে হয় দেশের সব ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানকেই। স্বাভাবিকভাবে বিসিবিও নিচ্ছে। শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর নয়, বাংলাদেশকে এবার খেলতে হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও। ফ্লোরিডায় ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়াটা খুব জটিল, টি-টোয়েন্টি দলের সম্ভাব্য খেলোয়াড়দের জিও আগে নিয়ে রাখছে বিসিবি। টি-টোয়েন্টি দলে মাশরাফি নেই বলেই তাঁর নামটি ২২জনের তালিকায় নেই। বিভ্রান্তিটা তৈরি হয়েছে আসলে অনুমতিপত্রের শিরোনামে তিন সংস্করণের কথা উল্লেখ থাকায় ।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দীন বলছেন, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এখানে তিন সংস্করণের কথাটা চলে এসেছে, ‘বিষয়টা আসলে ভুল বোঝাবুঝি। প্রথম যে চিঠিটা গেছে এটা মূলত টি-টোয়েন্টি দলের। আমেরিকার ভিসার প্রক্রিয়া যেহেতু জটিল, আমাদের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ টি-টোয়েন্টির প্রাথমিক দলে থাকতে পারে এমন খেলোয়াড়দের নাম আগে পাঠিয়েছে। টেস্ট ও ওয়ানডে দলে থাকতে পারে এমন খেলোয়াড়দের নাম পরে যাবে।’
খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজমেন্ট সব মিলিয়ে ৩৭ জনের জিও নেওয়ার কথা বিসিবির। এর মধ্যে ২২ খেলোয়াড়ের হয়ে গেছে, বাকিদের তালিকাও খুব শিগগির যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৫ years ago