মালয়েশিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২৯ বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ২৯০ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মালয়েশিয়ার সেপাং জেলখানার প্রধান কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
তাদের কাছে বৈধ কাগজ না থাকায় এবং টেরোরিজম গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার সন্দেহে আটক করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বুধবার রাতে (৯ আগস্ট) দেশটির সাইবারজায়ায় নামক স্থানে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অংশ নেয় মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন পুলিশ, রেডরাল পুলিশ কাউন্টার টেরোরিজম ও এডুকেশন মালয়েশিয়া গ্রোবাল সার্ভিস।
যে দেশে যতজন আটক
ইয়েমেন (৫০), পাকিস্তান (৩২), সিরিয়া (৩২), বাংলাদেশি (২৯), ইন্ডিয়া (২৭), নেপাল (২২), প্যালেস্টাইন (১৬), সুদান (১০), ইন্দোনেশিয়া (৭), লিবিয়া (৬), নাইজেরিয়া (৫), সৌদি আরব (৫), শ্রীলঙ্কা (৫), ইরাক (৬), ইরান (৫) আলজেরিয়া (৩), সেনেগাল (৪), সোমালিয়া (৩), ফিলিপাইন (২), ঘানা (২), লেবানন (২), মৌরিতানিয়া (২), মিশর (২), তাজিকিস্তান (২), গিনি (১), জর্দান (১), কাজাখস্তান (১), টুনিসিয়া (১), তুর্কমেনিস্তান (১), আফগানিস্তান (১), চীন (১)।
এদের মধ্যে ৯৮ জন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র। লিম কোক উইং ইউনিভার্সিটি, মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটি, ইউসিএআই ইউনিভার্সিটি, এফটিএমএস গ্লোবাল কলেজ, ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়া এবং ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া পাহাং।
যাদের কাগজপত্র নেই তাদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন, ১৯৫৯-এর ধারা ৬ (১) সি/ ১৫ (১) সি এবং পাসপোর্ট আইন, ১৯৬৬-এর ১২ (১) ধারায় ইমিগ্রেশন আইনের অধীনে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।
জানা গেছে, প্রায় ৫০০০ মার্কিন ডলার (আরএম ২৫,১৭৩) মূল্যের একটি সংবেদনশীল ডিভাইস যা ৫০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বিকিরণ শনাক্ত করতে পারে, এবং ব্যাকপ্যাকে আটকে থাকা আরও বড় এলাকায় স্ক্যানে ব্যবহার করতে পারে।