যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি জন ব্লিংকেনকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
চিঠিতে অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছে ঢাকা।
সম্প্রতি নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেওয়া অভিনন্দন চিঠিতে ড. মোমেন অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে স্থায়ী সম্পর্ক আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
চিঠিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে অংশ নিতে নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে ঢাকা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের এই সফর বহুমুখী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে অভূতপূর্ণ উন্নতি অর্জন করেছে ব্লিংকেন তার একটি সংক্ষিপ্ত ধারণাও পাবেন বলে ঢাকার চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে একটি অনন্য অংশীদারত্ব হিসেবে অভিহিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করার চেতনায় নতুন মার্কিন প্রশাসন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে পাওয়া শক্তিশালী রাজনৈতিক সমর্থন ও মানবিক সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানানো হয় চিঠিতে। একইসঙ্গে মিয়ানমারে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় বাইডেন প্রশাসন আরও সক্রিয়ভাবে নিজেদের সম্পৃক্ত করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে ঢাকা।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া জো বাইডেন তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দেন অ্যান্থনি জন ব্লিংকেনকে। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে সেটি অনুমোদন দেয় কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সিনেট। পরে গত ২৬ জানুয়ারি ভোটাভুটির মাধ্যমে এই নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়।