খুলনার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেছেন, শুধু মামলা রেকর্ড হলেই যে সেটি সত্য হবে তা কিন্তু না। পাইকগাছা এবং ফুলতলায় দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। জেলা পুলিশ এটি নিয়ে কাজ করছে। অল্প সময়ের মধ্যে এই খুনের রহস্য উদঘাটনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির ফেব্রুয়ারি মাসের সভায় পুলিশ সুপার একথা বলেন। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসন সম্মেলনকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, মামলার নথি ঘাটলে দেখা যায় বেশিরভাগ অপরাধের পেছনে জমি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ভুয়া মামলা করা হচ্ছে। এমনকি খুনের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে। তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি-ডাকাতি রোধে পাহারা এবং সিসিটিভি ব্যবহারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শেখ ইমরান বলেন, খুলনা মহানগরী অধিক্ষেত্রে জানুয়ারি মাসে দায়ের হওয়া মামলা বিগত ডিসেম্বর মাসে দায়ের হওয়া মামলার চেয়ে ৬টি বেশি। এসব মামলা নিয়ে মহানগর পুলিশ কাজ করছে।
তিনি জানান, পদ্মা সেতু চালুর ফলে খুলনায় যানবাহন চলাচল বেড়েছে। ফলে কিছুটা যানজট দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে মহানগরে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। আইন অমান্যকারীদের জরিমানা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, জমি-জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে আপন আত্মীয়কে পর্যন্ত হত্যা করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো হচ্ছে- যা সত্যিই ভাবার বিষয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাজ থেকে এসব অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা সভায় বিগত মাসে খুলনা জেলা ও মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। খুলনা জেলা অধিক্ষেত্রে বিগত জানুয়ারি মাসে ১৬৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। বিগত ডিসেম্বর মাসে দায়ের হওয়া মামলার চেয়ে যা ১৬টি বেশি। খুলনা মহানগরী অধিক্ষেত্রে জানুয়ারি মাসে ১৫৫টি মামলা দায়ের হয়। বিগত ডিসেম্বর মাসে দায়ের হওয়া মামলার চেয়ে যা ৬টি বেশি।
সভায় সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।