আদালতে কোনো মামলা-মোকদ্দমা না থাকলে খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
সর্বশেষ খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হয় ২০১৩ সালের ১৫ জুন। গাজীপুরের নির্বাচন হয় একই বছরের ৬ জুলাই। নির্বাচিত মেয়রদের মেয়াদ ৫ বছর।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। আইনের বাধ্যবাধকতা আছে। আমরা যদি নির্বাচন না করি তবে আইন পরিবর্তন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চিন্তা করছি বাধাটা কোথা থেকে আসতে পারে। আমরা ডিভিশনাল কমিশনারদের কাছে জানতে চেয়েছি- এসব সিটি কর্পোরেশনে কোনো মামলা-মোকদ্দমা আছে কি-না। নির্বাচনী তফসিল নিয়েই হোক, ভোটার লিস্ট নিয়েই হোক, কেউ যদি মামলা-মোকদ্দমা করে থাকে তবে তো আমরা নির্বাচন করতে পারব না।’
‘আমরা এই রিপোর্টটি পেলে নির্বাচন কমিশনকে বলব তাদের সুবিধা মতো সময়ে নির্বাচন করতে। তারা যদি পারে একসঙ্গে পাঁচটাতেই করুক, তারা যদি পর্যায়ক্রমে করতে চায় আমাদের তো কোনো আপত্তি থাকবে না।’
বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৭/৮ দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন পেয়ে যাবেন বলেও জানান মন্ত্রী।
কতদিনের মধ্যে নির্বাচন করতে চান- জানতে চাইলে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের যদি কোনো ভেজাল থাকত তবে না হয় করতাম না। ভেজাল তো দেখছি না। আমরা এখন তুঙ্গে, আমাদের জনপ্রিয়তা তো দেখছি ভালো। এটাতে (নির্বাচন) বাধা দিয়ে প্যাঁচে পড়তে যাব না। বাধা দিলেই তো নানা প্রশ্ন আসবে। না-কি ঝামেলা করলে ভালো হবে, তবে আমরা সেভাবে বুদ্ধি করব।’
‘সময়ের মধ্যেই আমরা করব। যদি হাইকোর্টের নির্দেশ থাকে তবে তা ক্লিয়ার না করে আমরা (নির্বাচন) করতে পারব না।’
পৌরসভার কর্মীরা চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে আন্দোলন করছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘তারা চাকরি নিলো পৌরসভায়। স্থায়ী সরকারের সেলফ গভর্নিং বডি তারা। নিজস্ব আয়ে চলে, নিজস্ব বাজেট আছে। সরকার তাদের নিয়ন্ত্রক। এখন তারা কোন উদ্দেশ্যে কী জন্য এটা করছে, আমার বুঝতে একটু অসুবিধা হয়। সরকারের শেষ সময়, রাস্তায় দাঁড়ালাম চাপ দিলাম। সরকার রাজি হয়ে গেল। এই রাজি হওয়া কি সম্ভব! আইন-কানুন পরিবর্তন না করে এটা কি করা যাবে!’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তারা (পৌরসভার কর্মী) একটা অসুবিধার মধ্যে অবশ্যই আছে। জাতীয় সব গ্রেডের বেতন প্রায় ডাবল হয়ে গেছে। কিন্তু পৌরসভাগুলোতে এখনও অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য আসেনি, ইনকামও বাড়েনি। আমরা একটা কাজ করতে পারতেছি যে একটা সিড মানি তাদের দেয়া যায় কি-না। এটা তারা পেলে সেখান থেকে বর্ধিতহারে বেতন দিলো সেখান থেকে তারা বাজেটটা বাড়িয়ে তাদের সক্ষমতা বাড়লো, তারপর বেতন-ভাতা দিলো। একটা হুকুমে কি বেসরকারি চাকরি সরকারি করা যাবে? সরকারি করা মনে হয় সম্ভব হবে না।’