‘মানুষগুলো পুড়ছিল, চিৎকার করছিল, সে এক ভয়ানক পরিস্থিতি’

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

মানুষগুলো পুড়ছিল- ‘আমি আমার বন্ধুদের সাথে বিমানে ছিলাম। বিমানটি যখন অবতরণ করছিল তখন সেটা বাম দিকে কাত হয়ে যায়। যাত্রীরা তখন চিৎকার করতে শুরু করেন। হঠাৎ করেই আমরা তখন বিমানের পেছনে আগুন দেখতে পাই।

আমার বন্ধু আমাকে বলে, “চলো দৌড়ে সামনে যাই।” তখন আমরা দৌড়ে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম, এমতাবস্থায় আমার বন্ধুর গায়ে আগুন ধরে যায়। সে তখন পড়ে যায়। আর অন্য মানুষগুলো তখন পুড়ছিল; তারা চিৎকার করছিল এবং পড়ে যাচ্ছিল।’ খবর হিমালয়ান টাইমস।

এভাবেই সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন শাহরীন আহমেদ নামের ইউএস-বাংলার বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের এক যাত্রী।

শাহরীন এক বন্ধুর সঙ্গে নেপালে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। ওই দুর্ঘটনায় তার শরীরের অনেক জায়গা পুড়ে গেছে। বর্তমানে তিনি কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ টিচিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শাহরীন আহমেদ কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘বিমানে থাকা মানুষগুলো পুড়ে যাচ্ছিল। তারা চিৎকার করছিল এবং বিমান থেকে পড়ে যাচ্ছিল। আমি জ্বলন্ত বিমান থেকে তিনজনকে লাফ দিতে দেখেছি। এটা ভীষণ ভয়ানক পরিস্থিতি ছিল। সৌভাগ্যবশত কেউ আমাকে সেখান থেকে টেনে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যায়।

পেশায় শিক্ষক শাহরীন যাচ্ছিলেন কাঠমান্ডু ও পোখারায় ঘুরতে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছে, শাহরীনের ডান পায়ে আঘাত লেগেছে এবং তার শরীরের ১৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।