কারা কর্মকর্তা ও রক্ষীদের বিরুদ্ধে কারাগারে মাদক সরবরাহের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিভিন্ন সময় মাদকসহ ধরা পড়ার ঘটনাও ঘটেছে।
বিভিন্ন সময় মাদক সেবন ও পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলারসহ ৭০ কারা কর্মকর্তা ও কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে এখন তদন্ত চলছে।
এ ছাড়া মঙ্গলবার তিন কারারক্ষীকে চাকরিচ্যুত ও দু’জনকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মাদক নির্মূলে সারাদেশে বিশেষ অভিযান চলছে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মঙ্গলবার পর্যন্ত ১০৮ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ১০ হাজারের বেশি। উদ্ধার হয়েছে বিপুলসংখ্যক মাদকদ্রব্য।
কারা অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সব সময়ই কারা কর্তৃপক্ষ কঠোর ভূমিকা রাখে। ৭০ জন কর্মকর্তা ও রক্ষীকে মাদক-সংশ্লিষ্টতায় সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অপরাধ অনুযায়ী তাদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা হবে।
মঙ্গলবার চাকরিচ্যুত কারারক্ষীরা হলেন- শরীয়তপুর কারাগারের কারারক্ষী পলাশ হোসেন, সালাউদ্দিন ও ফারুক হোসেন।
এ ছাড়া মাদক সেবনের অভিযোগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী আশরাফুল ইসলাম ও রায়হান উদ্দিন এবং অন্য অপরাধে আরও ১২ জনকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। জেলার, ডেপুটি জেলার, কারারক্ষীসহ ৭০ জনের বিরুদ্ধে মাদক-সংশ্নিষ্টতায় তদন্ত চলছে।
গত মার্চে উদ্ধার হওয়া ইয়াবা বিক্রির সময় হাতেনাতে ধরা পড়ার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মোমিনুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।