মাদক মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন মনির মোল্লা

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

অবশেষে মাদক মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, রূপাতলী এলাকার মাদক ব্যবসা, রোগীর দালাল, ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণসহ বহু অপকর্মের হোতা এম. জাহিদুর রহমান ওরফে মনির মোল্লা। সম্প্রতি রূপাতলীস্থ বিদ্যুৎ পাওয়ার হাউজ কম্পাউন্ডের কোয়ার্টারে মনির মোল্লার অবৈধ দখলে থাকা একটি কক্ষ থেকে ইয়াবা সেবনকালে এক পুলিশ সদস্যসহ ৩জনকে আটক করে পুলিশ। এরপর সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ৭০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যদিও মামলায় জব্দ দেখানো হয় ৪৫২ পিস। যে ঘটনায় এই নেতাকে নিয়ে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছে দলীয় নেতৃবৃন্দ। এত বড় একটি মাদক বিতর্কে মনির মোল্লার সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা বেড়িয়ে আসলেও নগর আ’লীগ তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা রয়েছে প্রশ্নের মুখে। তবে মহানগর আ’লীগের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েই মনির মোল্লা আরো বেশিমাত্রায় বেসামাল হয়ে উঠেছে বলে ওই এলাকার নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের আতঙ্কে-ভরা ভাষ্য। এমতাবস্থায় মনির মোল্লা নিজেকে রক্ষায় বরিশাল মিডিয়ার কয়েকজনকে ব্যবহার করে তার সম্পর্কে ‘অহেতুক তৈলমর্দন’-মূলক লেখনী ছাপিয়ে মাদকের ঘটনা থেকে নিজের সম্পৃক্ত না থাকার কথা জনমনে চাপাতে চাইলেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না বলে ওই মামলা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। ওই ঘটনার পরপরই মনির মোল্লা তার নিজস্ব লোকজন দ্বারা নতুন একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালু করে সেখানে তার স্বপক্ষে গুণকীর্তন লিখে চলেছেন।

তবে যে ঘটনার প্রেক্ষিতে মনির মোল্লা নিজেকে ‘সাধু’ বানানোর চেষ্টায় মত্ত, ওই মামলায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্তা এবং আদালতে দেওয়া আটককৃতদের জবানবন্দী বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, আটককৃতরা সরাসরি মনির মোল্লার সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জানিয়েছে, তারা মনির মোল্লা ও তার লোকজনের কাছ থেকেই সব সময় ইয়াবা কিনতেন। ঘটনার দিন মনির সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং পুলিশ তাকেও ধরে ফেললে বিপুল অংকের টাকা রফাদফায় ছাড়া পান।

আদালত সূত্র জানায়, মনির মোল্লার মাদকের আস্তানা থেকে তিনজনকে আটকের পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ ঘটনাকালে মনির মোল্লার উপস্থিতির বিষয়টি ফলাও করে প্রকাশ হলে একজন আইনজীবী সকল পত্রিকা একত্র করে আদালতে আবেদন জানান সাংবাদিকরা যখন মনিরের সম্পৃক্ততার কথা বলছে তাহলে তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এরপর আদালত মনির মোল্লার সম্পৃক্ততার বিষয়টিও তদন্তের জন্য পুলিশকে আদেশ দেন। এই বিষয়ে জানতে মনির মোল্লার সাথে কথা বললে তিনি নিজেকে এক সময়ের সাংবাদিক দাবি করে বলেন, তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। অনেকেই সহ্য করতে না পেরে সাংবাদিকদের কাছে তার নামে ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। সাবেক সহকর্মী হিসেবে তার প্রতি সহমর্মিতা দেখানোর অনুরোধ জানান মনির মোল্লা।