মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

জনগণকে সম্পৃক্ত করে সর্বনাশা মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। তিনি বলেছেন, দেশের শক্তি যুব সমাজ ও তাদের ভবিষ্যৎ মেধাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে মাদক নিয়ন্ত্রণ জরুরি হয়ে পড়েছে। পুরো জাতির জন্য মাদক উদ্বেগের বিষয়। মাদকের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে যুদ্ধে নামতে হবে।

রোববার দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানে জিরো পয়েন্টে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ শীর্ষক দেশব্যাপী সচেতনতা কার্যক্রম উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ পুলিশ ও র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও র‌্যাবের ডিজি কয়েকটি বাসে মাদকবিরোধী অভিযানের স্টিকার লাগান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানের স্লোগান হচ্ছে- ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’। পুলিশ প্রশাসন ও র‌্যাব মাদক নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, মাদকের ব্যবসা যারা করে বা মাদকে যারা সহযোগিতা করে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সামাজিকভাবে তাদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে। চলমান যুদ্ধে সবাইকে সম্পৃক্ত করা হবে। তিনি বলেন, সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বাসাবাড়ি, বাজারে মাদকের বিরুদ্ধে স্টিকার বিতরণ করা হচ্ছে। আরও যা যা করা দরকার, তাই করা হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে, এতে জনগণেরই জয় হবে। এজন্য যার যার অবস্থান থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করতে হবে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যেভাবে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে অভিযান চলছে, তেমনি মাদকের বিরুদ্ধেও এই নীতি অনুসরণ করা হবে।

র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, মাদকের খুচরা বিক্রেতা থেকে শুরু করে ডিলার যারা রয়েছে, তাদের এ পেশা ছাড়তে হবে। কেউ অভিযানের বাইরে নয়।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার হাত থেকে আইনের হাত অনেক বড়। কোনো নির্দিষ্ট গ্রুপ তাদের টার্গেট নয়। মাদকসেবী থেকে মাদক ব্যবসায়ী, বিশেষ করে মাদক ব্যবসায়ীরাই তাদের টার্গেট। মাদকের শিকড়সহ তুলে আনা হবে।