মাদকাসক্তির জন্য সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করেছেন তরুণরা। মাদকের ভয়াবহতা এবং এর বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা সম্পর্কে আরও প্রচার চালানোর তাগিদ দিয়েছেন তারা।
রোববার (১৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর শ্যামলীস্থ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের অর্কিড মিটিং রুমে আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ অভিমত জানানো হয়।
‘২৬ জুন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মিডিয়া ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। ব্রিফিংয়ে বলা হয়, বাংলাদেশের তরুণদের মাদকাসক্তি নিরাময়ের জন্য, শিক্ষা, প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাকে সমন্বিত করে বহুমুখী পদ্ধতি চালু করা প্রয়োজন। মাদক সম্পর্কিত শিক্ষা কার্যক্রম তরুণদের মাদকসেবনের ঝুঁকিগুলো বুঝতে সাহায্য করতে পারে। প্রতিরোধের প্রচেষ্টার মধ্যে মাদক বিক্রির বিরুদ্ধে কঠোর আইন এবং সমাজের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।
সংগঠনটির ফোকাল পার্সন মারজানা মুনতাহা বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার গুরুতর সমস্যা, যা সমাধানে সমাজের সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ইউএনওডিসি (ইউনাইটেড ন্যাসন্স অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম) এবং ডিএপিসির (ড্রাগ অ্যান্ড অ্যালকোহল প্রিভেনশন সেন্টার) সহয়তায় ‘এনহ্যানসিং দ্য ক্যাপাসিটি অব সিভিল সোসাইটি টু প্রিভেন্ট ড্রাগ এবিউস এমাং দ্য ইউথ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের অধীনে ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও পাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ তরুণ। বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত রাখতে তরুণসমাজকেই সর্বাধিক ভূমিকা রাখতে হবে।