মাদকবিরোধী অভিযানে মৃত্যু: উদ্বেগ জানিয়ে ১০ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি

:
: ৬ years ago

দেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের দশ বিশিষ্ট নাগরিক। শনিবার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় এমন মৃত্যু কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিবৃতিদাতারা হলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, মামুনুর রশীদ, কবি নির্মলেন্দু গুণ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও হাসান আরিফ।

বিবৃতিতে বলা হয়, সারাদেশে যে মাদকবিরোধী অভিযান চলছে তার যৌক্তিকতা আমরা অনুধাবন করি। দেশে খুব কম পরিবার আছে যারা মাদকের ভয়াবহতা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পেরেছে। তাই সঙ্গত কারণে সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ম্ফূর্ত সমর্থনও এই অভিযানে প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ বিচার-বহির্ভূত হত্যার শিকার হচ্ছেন। যা অভিহিত করা হচ্ছে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত বলে।

এতে আরও বলা হয়, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় এমন মৃত্যু কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। সংবিধানে প্রদত্ত জীবনের অধিকার এভাবে কেড়ে নেওয়া যায় না। গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু নিহত ব্যক্তি সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। টেকনাফে নিহত পৌর কাউন্সিলর একরামের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার পূর্ব অভিযোগের কথা জানা যায়নি। তাকে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন পৌর মেয়র। তার পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে হত্যা-পূর্ব ফোনালাপ সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করেছে। যা কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজে অকল্পনীয়। এ রকম একটি ঘটনাই সমগ্র অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ ও জনগণকে আতঙ্কিত করতে যথেষ্ট।

যত দ্রুত সম্ভব ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের’ বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে সঠিক তথ্য প্রকাশের মধ্য দিয়ে ভয়ভীতি থেকে মানুষকে মুক্ত করতে সরকারের প্রতি তারা আহ্বান জানান।