মাথায় ভারি বস্তুর আঘাতেই সাংবাদিক পলাশের মৃত্যু

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

মাথায় আঘাতের ফলেই লক্ষ্মীপুরের তরুণ সাংবাদিক শাহ মনির পলাশের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় পলাশের মরদেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে ঢামেক হাসপাতালে পলাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

নিহত পলাশ লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের স্নাতক (পাস) চূড়ান্ত বর্ষের ফলপ্রত্যাশী ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক রুপবানী পত্রিকার লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে পলাশের খুনিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে লক্ষ্মীপুরে আন্দোলনে নেমেছে বিভিন্ন সংগঠন। রোববার সকালে লক্ষ্মীপুর সম্পাদক-প্রশাসক পরিষদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করা হয়।

পরে সাংবাদিকরা জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জন চন্দ্র পালের কাছে স্মারকলিপি দেয়। এছাড়া গত তিনদিন ধরে জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রেস ক্লাব, সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মানববন্ধনসহ আন্দোলন করে আসছে।

ময়নাতদন্তকারী ডা. প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, মাথায় আঘাতজনিত কারণেই পলাশের মৃত্যু হয়েছে। ভারি বস্তু দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়ে থাকতে পারে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের মাছিমনগর গ্রামে পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাচাতো দুই ভাই কাঠের লাঠি দিয়ে পলাশকে মারধর করে। এ সময় তার বাবা মনির হোসেন ও বোন নাছিমা আক্তার বেগম পিটিয়ে আহত করা হয়।

ঢামেক হাসপাতালে পরদিন তার মৃত্যু হয়। কিন্তু তার ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা হয়, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পলাশকে ঢামেকে ভর্তির সময় তার স্বজন আহত হওয়ার কারণ হিসেবে দুর্ঘটনার কথা বলেছিলেন। হাসপাতালের নথিতে তাই লেখা হয়। এ ত্রুটি সংশোধনে গত তিন দিন লক্ষ্মীপুর-ঢাকা দৌড়ঝাঁপ করতে হয় নিহতের স্বজনদের। তথ্য জটিলতা মিটিয়ে সবশেষ রোববার বিকেলে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।

পলাশ মারা যাওয়ার পর ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে নিহতের বাবা মনির হোসেন মান্নান সদর থানায় বাদী হয়ে আবু ইউছুফ, আবু ছায়েদ ও ইউছুফের স্ত্রী ফয়েজুন নেছাকে আসামি করে মামলা করেন। এর মধ্যে ফয়েজুন গ্রেফতার হলেও অন্যরা পলাতক রয়েছেন।