প্রথম দুই ম্যাচে এক ড্র। কোনো গোল নেই। মালদ্বীপের জার্মান কোচ পিটার সেগার্টের তো হয়েছিল চাকরি যায়যায় অবস্থা। টস ভাগ্যে সেমিফাইনালে উঠে সমস্যা জর্জরিত মালদ্বীপ জ্বলে উঠে উড়িয়ে দিলো নেপালকে। দ্বিতীয়বারের মতো সাফ সুজুকি কাপে চ্যাম্পিয়ন হতে বাধা ভারত, গ্রুপ পর্বে যাদের কাছে দ্বীপরাষ্ট্রটি হেরেছিল ২-০ গোলে।
অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে এলেও ভারত ছিল টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট। চ্যাম্পিয়নদের মতো খেলেই তারা ফাইনালে। এখন শেষটা ঠিকঠাকমতো হলেই হলো তাদের। মালদ্বীপ কী পারবে ফেভারিট ভারতের কাছ থেকে ট্রফিটা ছিনিয়ে নিতে? দলকে ফাইনালে উঠিয়ে পায়ের নিচে মাটি পাওয়া কোচ স্টিফেন ফাইনালে কোনো ছাড় দিতে নারাজ ভারতকে।
‘আমাদের জন্য ফাইনালে ওঠাই বড় সাফল্য। ৯ বছর আগে এই ঢাকায় ফাইনালে খেলার পর আবার সেখানেই শিরোপার লড়াই। আমরা শেষ চেষ্টা করবো ট্রফি উদ্ধারের’-বলেছেন মালদ্বীপ কোচ।
টুর্নামেন্টে ভারতের অনূর্ধ্ব-২৩ দল খেলছে। সেক্ষেত্রে তারা নিজেদের একটু এগিয়ে রাখছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন বলেন, ‘ভারত পুরোপুরি প্রফেশনাল দল। আমাদের খেলোয়াড়রা সেমি প্রফেশনাল। আমার খেলোয়াড়রা দেশে কাজ করেন। ৮ ঘন্টা কাজ শেষ করে খেলতে আসেন মাঠে। মালদ্বীপ লিগে এটা বড় সমস্যা। তবে নেপালের বিরুদ্ধে যেভাবে খেলেছি, তেমন খেলতে চাই ভারতের বিরুদ্ধে।’
ভারত বড় দেশ উল্লেখ করে মালদ্বীপ কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, ভারত এ অঞ্চলের বড় দল। তাদের জনসংখ্যা ১.৩২ বিলিয়ন। তবে ওসব নিয়ে আমি ভাবছি না। দুই দেশের জনসংখ্যার পার্থক্য যতই হোক, মাঠে কিন্তু লড়াই হবে ১১ জনের সঙ্গে ১১ জনেরই। তাই ভয়ের কিছু নেই।’