মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা দখল করে আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা। ফলে এই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে শিক্ষকদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয় পুলিশ।

পুলিশ জানায়, দুইদিকের রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা। এতে ভােগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

এদিকে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রতিনিধি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) নেতারা। বিটিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল দেখা করতে গেছেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে প্রেসক্লাবের গেটসংলগ্ন রাস্তা আটকে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষকরা। এতে রাস্তার একদিক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অন্যদিক দিয়ে যান চলাচল করছিল। কিন্তু আজ দুইদিকের রাস্তা বন্ধ করে দেন শিক্ষকরা। এতে রাস্তার উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে বিটিএ’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, আমরা জাতীয়করণের দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। জাতীয় প্রেসক্লাবে অবস্থান করছি। গত কয়েক দিনের চাইতে আজকে আমাদের উপস্থিতি অনেক বেড়েছে। আগামীতে আরও উপস্থিতি বাড়বে। যত দিন জাতীয়করণ হবে না, ততদিন আমরা রাস্তা ছেড়ে যাব না।

তিনি বলেন, যারা আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করবে তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখবে। জাতীয়করণ হলে সে সুবিধা সবাই পাবে, আমরা একা পাবো না।

বিটিএ’র সভাপতি অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়া বলেন, আমরা স্কুল তালাবদ্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান এটি মানছেন না বলে শুনতে পেরেছি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও অনেকে বিরোধিতা করেছিল কিন্তু পরে স্বাধীনতার উপকারিতা ঠিকই ভোগ করছে তারা।

এর আগে, গত শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ রাখার ঘোষণা দেন বিটিএ’র সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া।

উল্লেখ্য, গত ১১ জুলাই থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। আজ কর্মসূচির ৭ম দিন চলছে।

এর আগে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের আগে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দিলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন শিক্ষকরা।