মহিউদ্দিন রনির বিরুদ্ধে ‘বাইকচুরির’ সত্যতা পায়নি হল প্রশাসন

লেখক:
প্রকাশ: ২ দিন আগে

অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন হাওলাদার রনির বিরুদ্ধে ‘বাইকচুরির’ অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। আজ রবিবার (৩ আগস্ট) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

হলটির প্রাধ্যক্ষ ড. ফারুক শাহ বলেন, ‘মহিউদ্দিন হাওলাদার রনির আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, তদন্ত করে বাইকচুরির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।’

সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যাক্ষ ড. ফারুক শাহ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ২০১৭-২০১৮ সেশনের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার (মহিউদ্দিন রনি) গত ডিসেম্বর ২০২৪-এ, পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংক্রান্ত অভিযোগ/মন্তব্য প্রকাশিত হওয়ার প্রেক্ষিতে ন্যায়বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে হল কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি আবেদনপত্র প্রেরণ করেন।

তার আবেদনের প্রেক্ষিতে হল কর্তৃপক্ষ গত ১০ ডিসেম্বর, এই হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মো. জামিল শরীফকে আহ্বায়ক করে যথাক্রমে ড. আনয়ারোল আজিম ও মো. রাফিউল ইসলাম রাঙার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার কর্তৃক দুইটি বাইক জব্দ করার প্রক্রিয়ার সাথে তিনি সংশ্লিষ্ট থাকলেও, তা শৃঙ্খলা কমিটির (তৎকালীন ছাত্রদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি) মাধ্যমে হল প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল। হল অভ্যন্তরে কোনো ধরনের বাইকচুরির সাথে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।

এর আগে গত বছরের আগস্টে মহিউদ্দিন রনির বিরুদ্ধে ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল থেকে শিক্ষার্থীদের কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ উঠে। তার বিরুদ্ধে তিনটি বাইক চুরির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগের তথ্য পাওয়ার দাবি করে একটি বেসরকারি গণমাধ্যম। অভিযোগ উঠে, হল থেকে বের করা এসব বাইকের একটি বিক্রি করে ফেলা হয়েছে আর কয়েকটি বাইকের চাবি পরিবর্তন করে তার ছোট ভাইদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন রনি। পরবর্তীতে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রনি নিজেই তা চ্যালেঞ্জ করেন এবং অধিকতর তদন্তের জন্য হল প্রশাসনের কাছে আবেদনপত্র জমা দেন।