আগামীতে যে কোনো রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন একটি জৈব নিরাপত্তা আইন পাস করেছে চীন। শনিবার দেশটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী কর্তৃপক্ষ ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটি আইনটিতে অনুমোদন দেয়। খবর চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার।
আগামী এপ্রিলে কার্যকর হতে যাওয়া এ আইনের ফলে চীনে জৈব নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা চালু হবে। এর মাধ্যমে রোগের প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি পর্যালোচনা ও আগাম সতর্কতা, ঝুঁকি খতিয়ে দেখা ও মূল্যায়ন, জরুরি পদক্ষেপ ছাড়াও এ সংক্রান্ত গবেষণা ও তথ্য ভাগাভাগির কাজগুলো করা হবে।
শুধু আগাম সতর্কতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি নয় কোনো রোগের প্রাদুর্ভাবের খবর প্রথম জানানো ব্যক্তির (হুইসেলব্লোয়ার) সুরক্ষার কথাও বলা আছে আইনে। নিজ দেশ থেকে প্রাদুর্ভাব ছড়ানো মহামারি করোনা মোকাবিলা ও প্রথম দিকে তা গোপন রাখার মতো অভিযোগে জর্জরিত চীন অবশেষ এই আইন পাস করলো।
চীনে পাস হওয়া নতুন এই আইনটির বিধানে বলা হয়েছে, ‘জৈবনিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন যে কোনো বিষয় সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে জানানোর অধিকার রয়েছে দেশের যে কোনো কার্য ইউনিট বা স্বতন্ত্র ব্যক্তির।’
সংক্রামক রোগ ও মহামারি সম্পর্কে আইনটিতে বলা হয়েছে, ‘আইন অনুযায়ী বিষয়টি জানানোর প্রয়োজন হলে কোনও কার্য ইউনিট বা স্বতন্ত্র ব্যক্তি এটি গোপন করবেন না বা অন্যকে জানানোর কাজে বাধা দেবেন না।’
প্রাথমিক প্রাদুর্ভাব গোপন ও শুরুর দিকে হুইসেলব্লোয়ারদের কন্ঠরোধ করেছে চীন; মহামারি কোভিড-১৯ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর এমন অভিযোগ ওঠার পর ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি আইনটি পাস করলো।