সালমান রহমান, কূটনৈতিক প্রতিবেদক:: বাংলাদেশ হাইকমিশন, মরিশাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মদিন এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগের মাধ্যমে পালন করে। এ উপলক্ষে পোর্ট লুইসে অবস্থিত মরিশাসের পাবলিক হাসপাতাল এ জে জিটু হাসপাতালে তিনটি হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়। মান্যবর হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ এ জে জিটু হাসপাতালের রিজিওনাল পরিচালক জনাব ইসমাইল নাউর এর নিকট হুইল চেয়ারগুলো হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে মিসেস ডি আলাগাপেন, সিনিয়র চিফ এক্সিকিউটিভ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ড. কেসি, পরিচালক, স্বাস্থ্য সেবা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, মরিশাস উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা, কোভিড-19 এ মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিদের আত্মার মাগফিরাত ও অসুস্থ্য সকল ব্যক্তির সুস্থতা কামনা করা হয়।
মান্যবর হাইকমিশনার বক্তব্যের শুরুতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, সংগ্রাম ও মানবতার কথা উল্লেখ করে বলেন যে, শেখ কামাল ছিলেন তাঁরই আদর্শে বলীয়ান এক অসাধারণ তরুণ। তিনি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক। মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান, মুহম্মদ আতাউল গতি ওসমানীর এডিসি হিসেবেও কাজ করেন। ক্রীড়ানুরাগী হিসেবে আজও যে নামটি বাঙ্গালী জাতি স্মরণ করে সে হলো সবার প্রিয় শেখ কামাল।
তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, মরিশাস সরকার সকল জনসাধারনকে সম্পূর্ণ ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি প্রবাসী সকল কর্মীদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীরা একটি সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হলে জিটু হাসপাতাল সহমর্মিতার সাথে তাঁদের সকলের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন এবং বর্তমানে মরিশাসে অবস্থিত প্রবাসী কর্মীরা এই হাসপাতালে প্রায়শই চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সকল ডাক্তার এবং সহকারীদের দূতাবাসের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন যে, মানবতাবাদী আদর্শ তরুণ শেখ কামালের 72তম জন্মদিনে এই উপহার রোগীদের ব্যবহারের নিমিত্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে তাঁর আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হলো।
অনুষ্ঠানে মিসেস ডি আলাগাপেন, সিনিয়র চিফ এক্সিকিউটিভ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, মরিশাস তাঁর বক্তব্যে বলেন যে, হুইল চেয়ার হাসপাতালের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপকরন। তাই বাংলাদেশ হাইকমিশনের এ ধরনের মহতী উদ্যোগকে তথা মানবিক সহায়তার জন্য তিনি তাঁর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
এ জে জিটু হাসপাতালে রিজিওনাল পরিচালক জনাব ইসমাইল নাউর বাংলাদেশ হাইকমিশনের এই মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন যে, মিশন থেকে প্রদত্ত হুইল চেয়ারগুলো হাসপাতালে আগত রোগীদের বিশেষ উপকারে আসবে এবং সবাইকে এভাবে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।
