মফস্বলের সাংবাদিকদের সুরক্ষায় সংগঠিত প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের প্রয়োজন

:
: ৪ years ago

স্টাফ করেসপন্ডেন্টঃ ভোলায় সাংবাদিক সাগর চৌধুরিকে পিটিয়ে জখম করেই ক্ষান্ত হননি বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি- জসিম হায়দারের ছেলে নাবিল। নির্মম ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করে তা আবার ফেসবুকে লাইভও করেছেন । মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় উপজেলার রাজমনি সিনেমার সামনে আটক করে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সাংবাদিক সাগর চৌধুরীকে গুরুতর আহত করে।

এ ঘটনায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি হামলাকারী নাবিলকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি উঠেছে । গরিবের নামে বরাদ্দকৃত চাল রাতের আধারে চুরি করে নেয়ায় বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সাংবাদিক সাগর জানালে এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ভোলার বোরহানউদ্দিনে সাংবাদিক সাগর চৌধুরীকে মোবাইল চোর ও ছিনতাইয়ের অপবাদ দিয়ে এভাবে মারধর করে বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দারের ছেলে নাবিল।

এ ঘটনায় নির্যাতিত সাংবাদিক বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা পুলিশ সাংবাদিকদের মামলা নেয়নি। তবে বোরাহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হোসেন বলেন, সাংবাদিক সাগর চৌধুরি থানায় এসেছে চিকিৎসার জন্য তাকে বোরাহানউদ্দিন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে দৈনিক জনতার ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক শাহীন এর উপরও হামলা চালিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা । এই দুই সাংবাদিই নন । মফস্বলে হরহামেশাই ঘটছে সাংবাদিক নির্যাতন, হামলা, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনা । এসব কর্মকান্ডে অভিযুক্ত অধিকাংশরাই সরকার দলীয় সমর্থক বলে অভিযোগ । যে কারণে মফস্বলের সাংবাদিকের আজ নিরাপত্তা নাই ।

এসব ছাড়াও মফস্বলের সাংবাদিকদেরও অনবরত হত্যা ও নির্যাতনের হুমকির ঘটনাও ঘটছে । মিথ্যা মামলাও দেয়া হচ্ছে সাংবাদিকদের নামে । গণতন্ত্রে সাংবাদিককে ভয় দেখিয়ে চুপ রাখার মত সহজ কাজ আর কী আছে । এমন প্রশ্নও উঠেছে । মফস্বলের সাংবাদিকরা পেশাদার এবং প্রশিক্ষিত কর্মী, দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড, আইনশৃংঙ্খরা পরিস্থিতি, দুর্নীতি, অনিয়মসহ দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করে আসছে ।

সামান্য কারণে অথবা অকারণে মফস্বলের সাংবাদিকদের উপর হামলা, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার, ভীতি প্রদর্শনে পেশাগত ঝুঁকির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আরও উদ্বেগজনক হলো মফস্বলের সাংবাদিকদের ওপর হামলা-নির্যাতনের অনেক ঘটনারই সুষ্ঠু বিচার হচ্ছে না। সাংবাদিক নির্যাতন ও সাংবাদিক হত্যার যথাযথ বিচার না হওয়া স্পষ্টতই অপরাধীদের দায়মুক্তি দিচ্ছে। একে সাংবাদিকদের ওপর হয়রানি, নির্যাতন ও হামলার ঘটনা বাড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক অধিকার সম্পাদক তাজবির সজিব,দৈনিক আমাদের কন্ঠ নির্বাহী সম্পাদক মিয়াজী সেলিম আহমেদ, লিবার্টি টিভির চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম সজল,বিডি২৪লাইভ.কমের এডিটর-ইন-চিফ ও বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আসাদ,আর্থটাইমস্ ২৪ ডটকমের সম্পাদক ও বনেকের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া আলম দিপু, বনেকের দপ্তর সম্পাদক এইচ এম তারেকসহ সাংবাদিক নেতারা।

এ অবস্থায় অবিলম্বে সাংবাদিকদের ওপর সংঘটিত সব হামলা-নির্যাতনের যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। এদাবি বাস্তাবয়ন করতে মফস্বলের সাংবাদিকদের সুরক্ষায় সংগঠিত প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের প্রয়োজন । খায়রুল আলম রফিক, সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ (বনেক) ও এডিটর-ইন-চিফ ২৪ ঘণ্টা নিউজ. কম ।