মন্ত্রীর তাৎক্ষণিক ফোনে সমাধানের আশ্বাস

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago
মোহাম্মদ নাসিম

দুপুর সাড়ে ১২টা। কাজ করার সময় ছাদ থেকে পড়ে আহত হন মোহাম্মদ নামের এক শ্রমিক। সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান পায়ে মারাত্মক আঘাত লেগেছে। এক্সে-রে করতে হবে। কিন্তু এখানে (মুগদা ৫০০ শয্যা হাসপাতাল) দুপুর ১২টার পর এক্স-রে বন্ধ হয়ে যায়। তাই তিনি পরামর্শ দেন পাশের বেসরকারি কোনো হাসপাতাল থেকে এক্স-রে করার। আহত মোহাম্মদ ঠিকমতো দাঁড়াতে না পরলেও অটোরিকশা নিয়ে পাশের এক বেসরকারি হাসপাতালে এক্স-রে করে ঘণ্টাখানেক পর মুগদা মেডিকেলে ফিরে আসেন। এবার চিকিৎসক বলেন- দুই পায়ের হাড়ে সমস্যা হয়েছে। ভর্তি হতে হবে।

সরকারি হাসপাতালে এরকম শত শত মানুষ ভোগান্তিতে পড়লেও সহসায় সমাধান মিলে না।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন সরকরি হাসপাতালে দুপুর ১২টার পর এক্স-রে বন্ধ করে দেয়া হয়। এটা কি নিয়ম অনুসারে…। তা না হলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কেন ২৪ ঘণ্টা এক্স-রের ব্যবস্থা থাকছে না। প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন এটা ঠিক না। আমি ফোন করে জেনে বলছি। এ সময় সঙ্গে সঙ্গে মুগদা হাসপাতালে মন্ত্রী ফোন করার পর কর্তৃপক্ষ বলেন আপনি (মন্ত্রী) দেখতে পারেন আমাদের এখানে বিকেল পর্যন্ত এক্স-রে করা হয়। উত্তরে মন্ত্রী বলেন আমি গেলে তো এক্স-রে হবেই, আমার অনুপস্থিতে আপনারা কি করেন।

সাংবাদিকরা অভিযোগ করেছে দুপুর ১২টার পর আপনার এক্স-রে করান না। পরে মন্ত্রী বিষয়টি সমাধান হবে বলেন সাংবাদিকদের জানান।

অপরদিকে ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী নারীদের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফিটো-ম্যাটারনাল মেডিসিন ইউনিট চালু করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়নি। ফলে রোগী ভর্তি হলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছে না। কিন্তু ফিটো-ম্যাটারনাল মেডিসিন বিষয়ে পড়াশোনা করা দেশে একমাত্র চিকিৎসক থাকলেও তাকে টাংগাইলে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মেডিকেল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য সচিবের কাছে এ বিষয়ে চিঠি দিলেও কোনো সমাধান মেলেনি।

বিষয়টি মন্ত্রীকে জানানো হলে তিনি বলেন এ ঘটনা জানা নেই। দাঁড়ান এখনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ফোন করেন। বিষয়টি কেন জানানো হয়নি জানতে চাওয়া হয়। পরে মন্ত্রী বলেন শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে।

রোববার বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম—বিএইচআরএফ এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-বিএমএর যৌথ আয়োজনে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী তাৎক্ষণিক এসব ব্যবস্থা নেন।

মিট দ্য প্রেসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, বিএইচআরএফ এর সভাপতি তৌফিক মারুফ এবং সাধারণ সম্পাদক নিখিল মানকিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।