মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ সরকারি ব্যয় সংকোচনের নীতি গ্রহণ করেছেন। ব্যয় কমাতে প্রথম কার্যক্রমটা মন্ত্রীদের দিয়েই শুরু করছেন। তিনি মন্ত্রীদের বেতন ১০ শতাংশ কমিয়ে ফেলার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
মাহাথির দ্বিতীয়বারের মতো মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর বুধবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে সাপ্তাহিক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে পুত্রজায়ায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি ১০ শতাংশ বেতন কমানোর ঘোষণা দেন।
বয়সকে হার মানিয়ে মালয়েশিয়ার সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই মাহাথির জানিয়েছিলেন, কয়েকটি সরকারি দপ্তরের প্রধানদের বাদ দেওয়া হবে। আমরা দেখেছি কিছু লোক সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করেছে, পোষণ করেছে। অথচ সারা বিশ্ব তাঁকে সম্পদ চুরি করা শাসক আখ্যা দিয়েছে।
মাহাথির বলেন, ‘এটা (বেতন কমানোর) করার কারণ হলো, দেশ যে অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্য আছে তা তুলে ধরা।’ তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। সরকারের নেওয়া ঋণ কমাতে হবে। ঋণ গিয়ে ঠেকেছে ২৫০ বিলিয়ন ডলারে। এর পরিমাণ আমাদের জিডিপির ৬৫ শতাংশের সমান।
এর আগে মাহাথির কাছে নির্বাচনে হেরে যাওয়া নাজিব রাজাক দাবি করেছিলেন, ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৫৫ শতাংশ।
প্রথমবার অর্থাৎ ১৯৮১ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মন্ত্রী ও আমলাদের বেতন কমিয়েছিলেন মাহাথির মোহাম্মদ। এবারও তিনি তা করতে যাচ্ছেন। তবে দেশটিতে আমলাদের তুলনায় মন্ত্রীদের বেতন কম।
মালয়েশিয়ার সংসদের ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী ২২ হাজার ৮২৭ রিংগিত, ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ১৮ হাজার ১৬৮ রিংগিত, মন্ত্রী ১৪ হাজার ৯০৭ রিংগিত, উপমন্ত্রী ১০ হাজার ৮৮৪ রিংগিত মাসে বেতন হিসাবে পান। তথ্যসূত্র: চ্যানেল নিউজ এশিয়া