মনোনয়নযুদ্ধে দুই সাংবাদিক

:
: ৬ years ago

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে কুমিল্লার ১১টি আসনে দুজন সাংবাদিক দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন বিএনপি ও অপরজন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের (ইনু) ফরম নিয়েছেন।

ওই দুজন হলেন কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ এবং কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসন থেকে জাসদের কেন্দ্র থেকে ঘোষিত প্রার্থী সাপ্তাহিক বিবর্তন পত্রিকার সম্পাদক দিলীপ মজুমদার।

শওকত মাহমুদের আসনে বিএনপির অন্তত পাঁচজন শক্তিশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। তাঁরা হলেন চারবারের নির্বাচিত সাবেক সাংসদ মো. ইউনুস, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জয়ী সাংসদ মজিবুর রহমান, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির প্রার্থী এ এস এম আলাউদ্দিন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন এবং বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম মিজানুর রহমান।

জানতে চাইলে শওকত মাহমুদ গতকাল শুক্রবার বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছি। দল আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আশা রাখছি। দলের থেকে অনেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতেই পারেন। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে প্রার্থী চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তখন সবাই একই কাতারে চলে আসবেন। আমার দুটি মামলার হাজিরা আছে রোববার ও সোমবার। এরপর পুরোদমে মাঠে চলে আসব।’

সম্প্রতি জাসদের প্রকাশিত প্রার্থী তালিকায় দিলীপ মজুমদারের নাম রয়েছে। তবে এ আসনে মহাজোটের মনোনয়নপ্রত্যাশী শক্তিশালী দুজন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের নাছিমুল আলম চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির বর্তমান সাংসদ নুরুল ইসলাম।

দিলীপ মজুমদার বলেন, ‘পাকিস্তানে ২ দশমিক ৫ শতাংশ হিন্দুর মধ্যে ১৬ জন এমপি (সাংসদ)। বাংলাদেশে ১১ শতাংশের মধ্যেও তেমন জনপ্রতিনিধি নেই। সংখ্যালঘুরা যেন নির্যাতিত না হয়, সেই দিকে কাজ করব। বরুড়াতে যোগ্য ও শিক্ষিত নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। এলাকার জন্য কাজ করতে চাই।’

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর বলেন, নির্বাচনে নানা পেশার লোকজন আসেন। নিকট অতীতে সাংবাদিকেরা বড় পরিসরে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছেন এমন নজির খুব বেশি নেই। যাঁরাই প্রার্থী হোন না কেন, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দলে আসা দরকার। এরপর প্রার্থী হলে দল ও ভোটাররা উপকৃত হয়ে থাকেন। হঠাৎ করে মনোনয়ন নিয়ে এলে ফল ভালো হয় না। তারপরও সাবেক সাংবাদিক হিসেবে তাঁদের এগিয়ে আসাকে সাধুবাদ জানাই।’