মনোনয়নপত্র বাতিলঃ ৫৪৩ জনের আপিল, নিষ্পত্তি তিন দিনে

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে ৫৪৩ জন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেছেন। বাছাইয়ের সময় ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল। তার মানে, ২৪৩ জন প্রার্থী ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেনি।

বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, আগামী তিন দিনে এই আপিলগুলোর শুনানি হবে এবং নিষ্পত্তি করা হবে।

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, মোট আপিল হয়েছে ৫৪৩টি। আপিলগুলোর নিষ্পত্তি হবে আগামী ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর। প্রথম দিনে ৮৪টি, দ্বিতীয় দিনে ২৩৭টি এবং তৃতীয় দিনে বাকি ২২২টি আপিলের নিষ্পত্তি করা হবে।

ইসি সচিব জানিয়েছেন, ক্রমিক অনুসারে আপিলের নিষ্পত্তি করা হবে। আপিলের ফল সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হবে। কোনো প্রার্থীর আপিল গ্রহণ করা হলে, তা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে মোট ৩০৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা হয়েছিল। এর মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ৭৮৬টি। এই বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্রগুলোর মধ্যে আপিল হয়েছে ৫৪৩টিতে।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আগামীকাল অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর শুনানি হবে ১ থেকে ১৬০ পর্যন্ত ক্রমিকের আপিলগুলো। ১৬১ থেকে ৩১০ ক্রমিকের আপিলগুলোর শুনানি হবে ৭ ডিসেম্বরে। বাকি আপিলগুলোর শুনানি হবে ৮ ডিসেম্বরে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে আপিলের শুনানি শুরু হবে। প্রতি দিনের জন্য নির্ধারিত সংখ্যক আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শুনানি চলবে।

এদিকে জাতীয় পার্টির মহাসচিবের পদ থেকে রুহুল আমিন হাওলাদার সরে যাওয়ায় দলটির মনোনয়নপত্রে এখন থেকে স্বাক্ষর দেবেন মসিউর রহমান রাঙ্গা। এ বিষয়ে ইসিতে আবেদন করেছিল জাতীয় পার্টি। ইসি সচিব জানান, ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে এর আগে আপিল শুনানি দুই দিনের মধ্যে শেষ করার জন্য ইসিতে আবেদন করেছিল বিএনপি। হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, বিএনপিকে বুঝিয়ে বলা হয়েছে যে, এত বিপুলসংখ্যক আপিল দুদিনে শেষ করা সম্ভব নয়। এই বিষয়ে দলটি সম্মত হয়েছে।

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ যে কোনো প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। গত ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর আপিল গ্রহণ করা হয়। যেসব আসনে কোনো দলের একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে, সে সব আসনে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দল থেকে যে কোনো একজন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে হবে। তখন অপর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাবে।