মধ্যপ্রাচ্য ধীরে ধীরে যুদ্ধবিরতির দিকে যাচ্ছে: ইরান

লেখক:
প্রকাশ: ৬ মাস আগে

অবরুদ্ধ গাজার ওপর ইসরায়েলের পাশবিক গণহত্যা বন্ধ করার জন্য মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার হয়েছে। বুধবার একদিনের দোহা সফরে গিয়ে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও হামাসের পলিটব্যুরো প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ইরানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কূটনৈতিক তৎপরতা দেখে মনে হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল ধীরে ধীরে যুদ্ধবিরতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। গাজা উপত্যকার ভয়াবহ পরিস্থিতির অবসান অথবা অন্তত ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশা লাঘবের লক্ষ্যেই যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য আঞ্চলিক তৎপরতা জোরদার হয়েছে।

তিনি বলেন, গাজাবিরোধী যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, তারা নতুন বছর শুরু হওয়ার আগেই ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে।

তবে আমির-আব্দুল্লাহিয়ান একথাও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা সংঘাতের স্থায়ী অবসান চায় না। তারা বরং কিছুটা বিরতি দিয়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়িয়ে নিয়ে আবার হামলা শুরু করতে চায়। আমেরিকা ও ফিলিস্তিনবিরোধী পক্ষগুলো যদি বিষয়টিতে আন্তরিক হয় তাহলে তাদের উচিত হবে সাময়িক যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার পর সে বিরতিকে কীভাবে স্থায়ী রূপ দেওয়া যায় সে চেষ্টা করা। গাজার ওপর থেকে অবরোধও পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে।

এর আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দোহায় ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়াসহ তার আলোচক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর হানিয়ার নেতৃত্বাধীন দলটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে মিসরের উদ্দেশ্যে কাতার ত্যাগ করেন।

বুধবার দোহায় কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুররহমান আলে সানির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। সাক্ষাতে দুই শীর্ষ কূটনীতিক গাজার সর্বশেষ পরিস্থিতি ও সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করেন। এর আগে নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে গাজায় ইসরায়েল ও হামাস যে যুদ্ধবিরতি পালন করেছিল তাতে প্রধান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছিল কাতার।